শাকিবের প্রথম…।
ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিং খান সময়ের আলোচিত অভিনেতা শাকিব খান। যার সিনেমা মানেই হলভর্তি মানুষ। যাকে নিয়ে অলোচনা-সমলোচনা নিন্দুকের বান চলে সমানতালে। সেই শাকিবের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে আগামনের পর যা কিছু প্রথম হয়েছে। সেখান থেকে কিছু তথ্য তুলে দেওয়া হল। ২৪বিনোদনবিডি.কম এর পাঠকদের জন্য। মিলিয়ে নিতে পারেন এই তথ্যগুলো আপনিও জানেন কিনা…
শাকিব প্রথমে চুক্তিবদ্ধ হন নির্মাতা আফতাব খান টুলু পরিচালিত ‘সবাই তো সুখী হতে চায়’ ছবিতে। তবে প্রথমে মুক্তি পাওয়ার সুবাধে প্রথম ছবি হিসেবে ধরা হয় নির্মতা সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’ ১৯৯৯ সালে মুক্তিপায় ছবিটি।
চলচ্চিত্রে নায়িকা পপির সঙ্গে প্রথমে তার প্রেমের গুঞ্জন ওঠে। ‘দুজন দুজনার’ ছবি করার সময় এই গুঞ্জন উঠে। যা সে সময় ইন্ডাস্ট্রিতে মুখরোচক আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।
ক্যারিয়ারে প্রথম হিটের স্বাদ পান নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘বিষে ভরা নাগিন’র কারণে। ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন মুনমুন। মুনমুনের সঙ্গেও শাকিব এটাই প্রথম কাজ।
এফ আই মানিক পরিচালিত ‘সবার উপরে তুমি’ মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। এ ছবির মাধ্যমেই বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় কোন ছবিতে প্রথম দেখা যায় এ সুপারস্টারকে। শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন স্বস্তিকা মুখার্জি।
২০১১ সালে নির্মাতা মালেক আফসারী পরিচালিত ‘মনের জ্বালা’ ছবিতে প্রথম কন্ঠ দেন শাকিব। ‘আমি চোখ তুলে লাকালে সূর্য লুকায়’ শিরোনামের গানটির সুরকার ছিলেন আলী আকরাম শুভ। এ সংগীত পরিচালক সে সময় প্রশংসা করে বলেছিলেন স্টুডিওতে ঢুকলে মনে হয়নি সে সুপারস্টার নায়ক। প্রফেশনাল সংগীত শিল্পীর মতো গানটা বুঝেছেন। খুব বেশিবার টেকও দিতে হয়নি।
২০১০ সালে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান শাকিব খান। ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ চলচ্চিত্রের জন্য এ সম্মাননা পান।
২০১৪ সালে প্রযোজকের খাতায় প্রথম নাম লেখান শাকিব। এসকে ফিল্মসের ব্যানারে তিনি তৈরি করেন ‘হিরো দ্য সুপারস্টার’। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন নির্মাতা বদিউল আলম খোকন।
‘গোলাম’ ছবির মাধ্যমে শাবনুরের সঙ্গে প্রথম জুটি বাধেন শাকিব। এই জুটির অধিকাংশ ছবি ছিল সুপারহিট। জুটির সর্বশেষ ছবি ‘বলবো কথা বাসরঘরে’।
২০১২ সালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করেন। প্রথমবারেই সভাপতি পদে জয়লাভও করেন। পরপর দুবার সমিতির নেতৃত্ব দেন। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সিনেমার ছবির ব্যস্ততার কারণে অংশ নেননি।
হলিউড-বলিউডের তারকারা সিক্যুয়েল-প্রিক্যুয়েল সিনেমায় অভিনয় করেন। শাকিব ক্যারিয়ারে একটি মাত্র সিক্যুয়েল ছবি ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’ তে অভিনয় করেন। ২০১৩ সালে একটি এবং ২০১৬ সালে আরেকটি ছবি তৈরি হয়। দুটোতেই নায়িকা ছিলেন জয়া আহসান।
‘প্রিয়া আমার প্রিয়া’ শাকিবের এমন একটি ব্যবসাসফল ছবি। যা কয়েকমাস ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন সিনেমাহলে চলেছে। নির্মাতা বদিউল আলম খোকন পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পায় ২০০৮ সালে। বলা হয়ে থাকে শাকিবের একক কৃত্বিত্বে এটাই প্রথম সুপারহিট ছবি।
২০১০ সালে শিডিউল ফাঁসানোয় শিল্পী সমিতি কর্তৃক প্রথম নিষিদ্ধ হয়েছিলেন শাকিব ও তার সহশিল্পী অপু বিশ্বাস। যদিও খুব অল্প সময়ের মধ্যে উঠিয়ে নেয়া হয় সেই নিষোধাজ্ঞা।
প্রথম সাহিত্যভিত্তিক কাজ ‘সুভা’। রবীন্দ্রনাথের গল্প থেকে এ ছবি নির্মাণ করেন চাষী নজরুল ইসলাম।
ক্যারিয়ারে প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি সোহেল আরমান পরিচালিত ‘এই তো প্রেম’। ২০১৫ সালে মুক্তি পায় ছবিটি।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে শাবনুরের সঙ্গে একটি ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনের মডেল হন। তবে আলোচিত বিজ্ঞাপন ছিল ২০১৪ সালে একটি এনার্জি ড্রিংক্সের।
মৌসুমীর সঙ্গে প্রথম জুটি হয়েছিল ‘তুই যদি আমার হইতিরে’ ছবিতে।
২০১০ সালের জন্মদিনে তিনি ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সবাইকে দাওয়াত করেন। সেই অনুষ্ঠানে বাবা-মাকে নিয়ে হাজির হয়ে চমকে দিয়েছিলেন সবাইকে। এমনটা তার আগে কখনো দেখা যায়নি।
অপুর বিপরীতে ২০০৬ সালে ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে প্রথম অভিনয়। এরপর এই জুটি একসঙ্গে ৭০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তাও মাত্র ১১ বছরে।
২০০৮ সাল থেকে রেকর্ড গড়তে শুরু করেন শাকিব। ঈদের দিন তার অভিনীত চারটি ছবি মুক্তি পায়। বেশ কয়েকটি ঈদে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। প্রায় হাজার সিনেমা হলে ঈদে তার ছবি চলে। যেমনটা তার আগের কোন নায়কের ক্ষেত্রে হয়নি।
এ সুপারস্টার কুখ্যাত খুনী ‘এরশাদ শিকদার’র জীবনী ভিত্তিক সিনেমায় অভিনয় করেন। শিকদার তখন দেশজুড়ে চর্চিত বিষয়। সে অর্থে বলা যায় এটা তার অভিনীত প্রথম বায়োপিক।
এ এম বি । পাথরঘাটা নিউজ