কাঁঠালিয়া খরায় চৌচির

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৭:০৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

খরায় চৌচিরপ্রচন্ড তাপদাহে কৃষিক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়েছে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায়। খাল-বিল-পুকুর শুকিয়ে তলার মাটি পর্যন্ত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। মাঠঘাট আর বিল সব ধূসর, বিবর্ণ হয়ে গেছে। সুপেয় পানির অভাবে হাহাকার দেখা দিয়েছে সেখানে।

দূরের কোথাও থেকে গভীর নলকূপের পানি সংগ্রহ করলেও রান্না, গোসল কিংবা ব্যবহারের পানি পাওয়া যাচ্ছে না। দীর্ঘ খরা আর তীব্র তাপদাহে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শতকরা ৮০টি খাল কিংবা ব্যক্তিগত পুকুর এখন পানিশূন্য হয়ে আছে। কোনো কোনো পুকুরের তলদেশে খানিকটা পানি থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী। কৃষকসহ সাধারণ মানুষ তাদের নিত্যদিনের ব্যবহারের পানি পর্যন্ত পাচ্ছেন না। এ অবস্থা উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে। সব যেন খা খা করছে।

এদিকে নিরাপদ পানির সঙ্কটে জলবসন্ত, জ্বর, ডায়রিয়া, টাইফয়েডসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগব্যাধির প্রকোপ বেড়েই চলছে। পানি সঙ্কটে ধান ও গাছ সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে না পারায় রোগবালাই বৃদ্ধিসহ ফলন কম হওয়ারও আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

কৃষক মোঃ ছাহেদ আলী ফকির বলেন, গবাদিপশু মাঠ ছেড়ে পানি খাওয়ার জন্য দৌড়ে ছুটে আসে বাড়ির পুকুরের দিকে। গবাদিপশু নিয়েও তারা পড়েছেন চরম বিপাকে। এছাড়া এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বহু চাষী হাইব্রিড ধানের আবাদ করেছে। লকলক করে বেড়া ওঠার পরে ধান পাকার আগেই ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।

অপর এক কৃষক জলিল খান জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীরা মাছ ধরার জন্য খাল বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করেছে। এর ফলে তিনি ক্ষেতে সেচ দিতে পারেননি।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বোরো আবাদের জন্য যে পানি দরকার তা খাল থেকে নেয়া হয়েছে। এখন আউশ আবাদে কৃষকদের বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এ উপজেলার খাল গুলো আরো গভীর করা প্রয়োজন। তাহলে আগামী দিনগুলোতে বেশি পরিমান পানি থাকতো।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জাকির হোসেন জানান, প্রচন্ড গরমে সাধারণত বৃদ্ধ ও শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। এ জন্য বেশি পরিমান পানি ও রোদে সাধারণ লোকজনকে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। তবে আমরাও সাধ্যমত চিকিৎসা দিচ্ছি।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৯ এপ্রিল

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)