আইপিএলের দ্বিতীয় জয় পেল মুম্বাই
মৌসুমটা ভালো যাচ্ছিল না আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। ৬ ম্যাচে মাত্র একটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল মোস্তাফিজের দল। তাই ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে মোস্তাফিজকে বাদ দিয়েই একাদশ সাজায় মুম্বাই। বাদ দেওয়া হয় আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার কাইরন পোলার্ডকে। তাদের পরিবর্তে দলে সুযোগ পান জেপি ডুমিনি এবং বেন কাটিং। আর তাদের নিয়ে আইপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিল রোহিত শর্মার দল। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা চেন্নাই সুপার কিংসকে
তারা ৮ উইকেটে হারায়।
চেন্নাইর দেওয়া ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বেশ ভালো সূচনা করেন মুম্বাইর দুই ওপেনার সুর্যকুমার যাদব ও এভিন লুইস। ওপেনিং জুটিতে ৬৯ রান তোলেন এই দুই ওপেনার। ৪৪ রান করে হরভজনের বলে আউট হন যাদব। তারপর দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ রোহিত শর্মা। এভিন লুইসের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে এগিয়ে নেওয়ার কাজটা করেন অধিনায়ক রোহিত। কিন্তু ম্যাচের ১৭তম ওভারে এভিন লুইস আউট হলে বিপদে পড়ে মুম্বাই। শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য মুম্বাইর দরকার ছিল ৩৭ রান।
১৮তম ওভারে শেন ওয়াটসনের বলে ১৮ রান নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন হার্দিক পান্ডিয়া ও রোহিত শর্মা। ১৯তম ওভারে শার্দুল ঠাকুরের ওভারে চারটি চার মেরে ম্যাচ নিজেদের করে নেন রোহিত। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল পাঁচ রান। দুই বল হাতে রেখে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছে যায় মুম্বাই। ৫৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রোহিত শর্মা।
এর আগে পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই ৫ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ১৬৯ রান। শুরুতে শেন ওয়াটসন ও আম্বাতি রাইডু কিন্তু খুব বেশি ঝড় তুলতে পারেননি। ১১ বলে ১২ রান করে আউট হয়ে যান ওয়াটসন। ৩৫ বলে ৪৬ রান করেন রাইডু। তবে এদিন চেন্নাইর ত্রাতা হিসেবে আবির্ভুত হন সুরেশ রায়না। ৪৭ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ভারতের মিডল অর্ডারের এই মারকুটে ব্যাটসম্যান। ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। শেষের দিকে মহেন্দ্র সিং ধোনি ২১ বলে করেন ২৬ রান করলে ১৬৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় চেন্নাই। মিচেল ম্যাকক্লেনঘান, ক্রুনাল পান্ডিয়া নেন ২টি করে উইকেট। বাকি উইকেটটি নেন হার্দিক পান্ডিয়া।