প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘পরীক্ষা ফি’ অতিরিক্ত আদায়!
কলাপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় বেশ কিছু বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত পরীক্ষা ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবশ্য এ অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা।
অপরদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের প্রস্তুতি না থাকায় উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা নির্দিষ্ট দিনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক শিক্ষা নিয়ে এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন অবিভাবকসহ অনেক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি।
জানা যায়, উপজেলার সরকারি, বেসরকারী মিলিয়ে ২০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে ২২এপ্রিল রবিবার থেকে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উপজেলা প্রাধমিক শিক্ষা আফিসের প্রস্তুতি না থাকায় তারিখ পরিবর্তন করে ২৪ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে, সরকারী পরিপত্র অনুযায়ী প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৫-৩৫ টাকা পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা থাকলেও প্রথম সাময়িক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে অনেক বিদ্যালয়ে ৩০-৭০ টাকা পর্যন্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
লতাচাপলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বাবু অনন্ত মুর্খাজী জানান, আমার বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে পরিপত্রনুযায়ী ফি নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। অতিরিক্ত ফি নেয়ার বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে তার কাছ থেকে সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায়নি। আমিরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজা উদ্দিন বলেন, গড়ে সকল শ্রেণির প্রতিসেট প্রশ্নপত্র উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে সাত টাকা দরে ক্রয় করতে হয়। বর্তমান বাজার দরে কাগজের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় পরিপত্রনুযায়ী ফি নিয়ে বাকী টাকায় পরীক্ষা গ্রহণ করা কষ্টকর। এর পরিবর্তন করা দরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহাকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও পরীক্ষা সচিব আবুল বাশার বলেন, সকল শিক্ষা কর্মকর্তাদের শনিবার (২১এপ্রিল) পটুয়াখালীতে প্রশিক্ষণ থাকায় নির্দিষ্ট তারিখে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনি শংকর লাল সাগরকন্যাকে বলেন, মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের আগমনসহ পটুয়াখালীতে মিটিং থাকায় পরীক্ষার তারিখ পেছানো হয়েছে। আতিরিক্তি ফি আদায় করা হলে তাদের শাসিয়ে দিয়েন (!) আমরাও অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৩ এপ্রিল