পারিশ্রমিকে এখনও এগিয়ে অপু
অনলাইন ডেস্কঃ একজন তারকার ব্যক্তিগত বলে কোন জীবন নেই! কারণ ভক্তরা তাদের সম্পর্কে জানেত চায়। জানতে চায় তারা কি খায়, কোন গাড়িতে চড়ে, কোন বাড়িতে থাকেনসহ তারা একটি ছবিতে কত টাকা পারিশ্রমিক নেয়? নায়িকাদের এখনও পারিশ্রমিকে এগিয়ে অপু বিশ্বাস তার সঙ্গেই আছেন মাহিয়া মাহি। দেখেনিন আপনাদের প্রিয় তারকাদের পারিশ্রমিকের হার।
অপু বিশ্বাস
অপু বিশ্বাসের শুরুটা ২০০৫ সালে আমজাদ হোসেনের ‘কাল সকালে’ ছবিতে অতিথি শিল্পী হিসেবে। ২০০৬ সালে নায়িকা হন ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে। প্রথম দিকে অপু বিশ্বাস ২ থেকে ৩ লাখ টাকা নিলেও শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিয়েছেন। আর এখন নিচ্ছেন ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা। তারও রয়েছে আলাদা যাতায়াত ও আপ্যায়ন খরচ।
মাহিয়া মাহি
২০১২ সালে জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘ভালোবাসার রঙ’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় আসা এই নায়িকা পারিশ্রমিকের দৌড়ে এগিয়ে আছেন অন্য সবার থেকে। ছবি প্রতি পারিশ্রমিক নেন ১০ লাখ টাকা করে। পরিচালক ও প্রযোজক ভেদে অঙ্কটা ওঠানামা করে। জাজ মাল্টিমিডিয়ার নিয়ম অনুযায়ী এই নায়িকা বেতনভুক্ত কর্মী হিসেবেই জাজের ছবিতে কাজ করেছেন। তবে প্রথম দিকে জাজের বাইরে যে দু-একটা ছবিতে কাজ করেছেন সেসব ছবিতে মাহি পারিশ্রমিক নিতেন ২ থেকে ৩ লাখ। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ থেকে ১০ লাখে।
পরীমণি
২০১৫ সালে শাহ আলম মণ্ডল পরিচালিত ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ছবি দিয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। এই নায়িকা প্রথম দিকে ছবি প্রতি ২ লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক নিলেও এখন নিচ্ছেন ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা করে।
শাবনূর
১৯৯৩ সালে প্রয়াত নির্মাতা এহতেশামের মাধ্যমে ‘চাঁদনী রাতে’ ছবিতে আসা নায়িকা শাবনূর শুরুতে ১ থেকে ২ লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক নিলেও জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে তার পারিশ্রমিক। ছবি প্রতি ৭ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিয়েছেন এই নায়িকা।
মৌসুমী
১৯৯৬ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মাধ্যমে রুপালি দুনিয়ায় আসা এই নায়িকা প্রথম ছবিতে ১ লাখ টাকা পেলেও পরে জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই অঙ্ক ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত ওঠে। আগের মতো এখন তেমন ছবি করছেন না তিনি। এখন ছবি প্রতি তিনি পারিশ্রমিক নেন ৪ লাখ টাকা করে।
পপি
১৯৯৬ সালে ‘কুলি’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় আসা এই নায়িকা অল্প সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি পারিশ্রমিক ২ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। বর্তমানে অভিনয়ে অনিয়মিত হলেও উচ্চহারে পারিশ্রমিক দাবি করেন পপি।
জয়া আহসান
ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় আসা জয়া আহসান প্রথমে বিকল্প ধারার ছবিতে কাজ শুরু করেন। তখন তিনি ছবি প্রতি ১ থেকে ২ লাখ টাকা করে নিতেন। পরে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় শুরু করলে ছবি প্রতি ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা করে নেন। কলকাতার ছবিতেও তার পারিশ্রমিক প্রায় একই অঙ্কের বলে জানা গেছে।
বিদ্যা সিনহা মিম
প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন লাক্স তারকা বিদ্যা সিনহা মিম। এরপর শাকিব খানের সঙ্গে ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’ বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর ব্যস্ত হয়ে পড়েন চলচ্চিত্রে। পরিচালক ও প্রযোজক ভেদে ওঠানামা করে তার পারিশ্রমিক। ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছেন তিনি।
ববি
২০১০ সালে ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত ‘খোঁজ-দ্য সার্চ’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন ইয়ামিন হক ববি। বেশ কিছুদিন বিরতি দিয়ে ২০১৩ সালে একই পরিচালকের ‘দেহরী’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে নিয়মিত হন চলচ্চিত্রে। শুরুতে নামমাত্র পারিশ্রমিক নিলেও ববি এখন সিনেমা প্রতি ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক নিচ্ছেন।
আঁচল
২০১০ সালে ‘ভুল’ ছবি দিয়ে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেন আঁচল। প্রথমে ২ লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক নিলেও এখন ছবি প্রতি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা করে।
মৌসুমী হামিদ
ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় আসা মৌসুমী হামিদ ছবি প্রতি ২ থেকে ৩ লাখ টাকার মতো পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন।
অন্যরা
শম্পা, অমৃতা খান, শিরিন শিলা, নিঝুম রুবিনাসহ অন্যরা নেন ২ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক। অন্যদিকে জাজের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন নুসরাত ফারিয়া ও জলি। জাজ মাল্টিমিডিয়া কর্তৃক বেতনভুক্ত অভিনয়শিল্পী হিসেবে কাজ করেন তারা। তাদের মাসিক হারে পারিশ্রমিক দেয় জাজ মাল্টিমিডিয়া।
এ এম বি । পাথরঘাটা নিউজ