“আমতলীতে সংখ্যালঘু নারী ধর্ষনের শিকার, মামলা প্রত্যাহারের হুমকি”
আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া গ্রামের এক সংখ্যালঘু নারী ১ সন্তানের জননী (২৫) ধর্ষনের শিকার হয়ে মামলা করে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও আসামী গ্রেফতার হয় নাই।
গত ৫ এপ্রিল ধর্ষনের শিকার হয়ে ১৬ এপ্রিল আমতলী থানায় ধর্ষক মো. মতিন পঞ্চায়েত (৩৫) এর নামে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষক মতিন পঞ্চায়েত একই ইউপির চুনাখালী গ্রামের মো. নুরুল হক মাষ্টারের ছেলে ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ৫ এপ্রিল অসহায় স্বামী পরিত্যাক্তা সংখ্যালঘু নারী (২৫) ধর্ষক মো. মতিন পঞ্চায়েতের বাড়ীর ফ্রিজে মাছ রাখতে গেলে বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে সু কৌশলে ঘরের দরজা বন্ধ করে সংখ্যালঘু নারী (২৫) কে জোরপূর্বক ধর্ষন করেন। ৫ এপ্রিল দুপুর ১২.৩০ এর সময় ঘটনা ঘটলেও বিচার শালিসের নামে তালবাহানা করে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত মামলা দায়ের করতে দেয়নি ধর্ষক মতিন পঞ্চায়েত ও তার পরিবার।
এ ঘটনায় সরেজমিনে গেলে ধর্ষনের শিকার সংখ্যালঘু নারীর পিতা মনু শীল জানান, ধর্ষকের পরিবার এলাকায় অনেক প্রভাবশালী। তারা আমাদের মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিচ্ছে এবং দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলছে। ধর্ষনের শিকার নারী বলেন, আসামীর পরিবার মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আমাদের হুমকি ধামকি দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলছে। ধর্ষনের শিকার নারী আরও বলেন, আমার উপর যে অত্যাচার ও নির্যাতন করা হয়েছে আমি তার বিচার চাই।
মামলা দায়েরের পর থেকে ধর্ষক মতিন পঞ্চায়েত পলাতক থাকায় এ ব্যাপারে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয় নাই।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমতলী থানার এস আই নাসরিন বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত চলছে এবং আসামীকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/কেএমআরআই/২০ এপ্রিল