ভোলায় কালবৈশাখীতে লণ্ডভণ্ড ৪০০ বাড়িঘর, মাঝি নিহত
ভোলার লালমোহনে মঙ্গলবার দুপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ প্রায় চার শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
এসময় ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকা ডুবে শুকুর মিয়া (৫০) নামে এক মাঝির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া ঝড়ে আরো ১০ জন আহত হন। এদিকে ঝড়ের কবলে পড়ে মনপুরায় তিন হাজার বস্তা সিমেন্টসহ একটি কার্গোবোট ডুবে ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমি জানান, দুপুরের পর কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যেই ঝড়ের তাণ্ডবে উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ চার শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়। এর মধ্যে ২৫০টি আংশিক আর ১৫০টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। পাশাপাশি প্রায় ১০০ হেক্টর ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঝড়ের কবলে পড়ে মেঘনা নদীতে একটি নৌকা ডুবে শুকুর মিয়া নামে এক মাঝির মৃত্যু হয়েছে। তিনি যশোর জেলার বাসিন্দা। যশোর থেকে পাটকাঠি নিয়ে তিনি ভোলার লালমোহন যাচ্ছিলেন।
ঘূর্ণিঝড়ে লালমোহন কলেজিয়েট স্কুলের চালা উড়ে গিয়ে ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে, মনপুরা উপজেলার ব্যবসায়ী আমির হোসেন হাওলাদার জানান, দুপুর ২টার দিকে ঝড়ের কবলে পড়ে ঘাটে বেঁধে রাখা তিন হাজার বস্তা সিমেন্টসহ তার একটি কার্গোবোট কাত হয়ে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বোটটি উদ্ধার করা সম্ভব হলেও প্রায় ১৫ লাখ টাকার সিমেন্ট নষ্ট হয়ে গেছে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১৭ এপ্রিল
