গণপিটুনিতে মৃত্যুপাথরঘাটায় মিথ্যা হত্যা মামলা থেকে মুক্তির দাবি গ্রামবাসির
পাথরঘাটায় গণপিটুনিতে ডাকাত সর্দার মো. বেল্লাল হোসেন হত্যা মামলা থেকে মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে ‘আমরা কালমেঘাবাসির’ ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শতাধিক গ্রামবাসি।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ইউপি সদস্য খায়রুল ইসলাম, পারভীন মিজান, ভুক্তভোগি রিমন মৃধা, মিলন মৃধা, মো. শাহিন মিয়া, ইকবাল হোসেনসহ অর্ধশত গ্রামবাসি লিখিত অভিযোগে জানান, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নে একই রাতে ৩ বাড়িতে ডাকাতি হয়। ঘটনার ১১দিন পর ডাকাতি সাথে জরিত থাকায় দক্ষিণ কুপদোন গ্রামের জসিমকে আটক করে পুলিশ। ১৬৪ ধারা স¦ীকারোক্তিতে নিহত বেল্লাল ডাকাত সর্দার এবং ওই ডাকাতি করে বলে প্রমান পায় পুলিশ। দীর্ঘ দুইমাস আত্মগোপনে থাকার পর ১২ মার্চ এলাকায় আসামাত্রই গণপিটুনিতে ডাকাত সর্দার মো. বেল্লাল হোসেন নিহত হয়। ওইদিন রাতেই পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৩শ থেকে ৪শ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। পরদিন ১৩মার্চ গ্রামবাসি আনন্দ মিছিল করলে পুর্ব শত্রু“তার জের ধরে উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে হয়রানী করার জন্য ডাকাত সর্দার বেল্লালের স্ত্রী মাসুমা বেগম ১৬জনকে আসামী করে বরগুনা শিশু আদালতে একটি হত্যা মামলা করে। ওই মামলার পর থেকেই আসামীসহ এলাকাবাসিরা হয়রানী ও আতঙ্কে রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও দাবি করা হয়, নিহত ডাকাত বেল্লালের বিরুদ্ধে পাথরঘাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় হত্যা, নারী নির্যাতন ও ডাকাতি ও চাদাবাজীসহ ১১টি মামলা রয়েছে। ওই মামলার পর থেকেই নিহত বেল্লালের স¦জনরা গ্রামবাসিদের বিভিন্ন রকমের হুমকি দেয় বলেও দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবীর আহম্মেদ পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, পুলিশের দায়ের করা হত্যা মামলা ও নিহত বেল্লালের স্ত্রীর দায়ের করা হত্যা মামলা দুটোই পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ তদন্ত করছেন।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১৭ এপ্রিল