ঝাল কিন্তু ভালো
আয়ু বাড়াতে ভূমিকা রাখে
এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ঝাল খাবার খায়, তাদের ‘অকালমৃত্যুর’ আশঙ্কা প্রায় ১৪ শতাংশ কমে যায়। তাই এ কথা বলা যায়, সুস্থভাবে দীর্ঘদিন বাঁচতে চাইলে সপ্তাহে তিন-চার দিন ঝাল মসলা দিয়ে খাবার খেলে সমস্যা নেই।
অবসাদ কমায়
হঠাৎ মন খারাপ হয়ে গেলে ঝাল খাবার খাওয়া যেতে পারে। গবেষণা বলছে, এ ক্ষেত্রে উপকার পাওয়ার নজির আছে। কারণ এ ধরনের খাবার মস্তিষ্কে ‘সেরোটোনিন’ নামক ‘ফিল গুড’ হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়।
ওজন কমে
নিয়মিত ঝাল খাবার ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। কারণ মরিচে থাকা ‘ক্যাপসিসিন’ নামক উপাদান শরীরে প্রবেশের পর মেটাবলিজেম রেট এতটা বাড়িয়ে দেয় যে চর্বি জমার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে চর্বি ‘বার্ন’ করার প্রক্রিয়াকেও ত্বরান্বিত করে।
কমে ক্যান্সারের ঝুঁকি
যুক্তরাষ্ট্রে এক গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁচা মরিচের ‘ক্যাপসিসিন’ ক্যান্সার সেল মেরে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ঝাল খাবার তৈরির সময় ব্যবহৃত হলুদ ও সরিষার তেলও এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
রাগ কমায়
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, ঝাল খাবার খাওয়ামাত্র সেরোটোনিনের মতো হরমোনের ক্ষরণ বাড়তে শুরু করে। ফলে রাগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
ঝাল খাবার খাওয়া মাত্র সারা শরীর গরম হয়ে ওঠে। ফলে রক্তের প্রবাহ বাড়ে। যার কারণে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় নেমে আসতে সময় লাগে না। মরিচের ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’ এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
হার্টের জন্য ভালো
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব দেশের মানুষ বেশি ঝাল খায়, তাদের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। কারণ মরিচে এমন কয়েকটি উপাদান আছে, যেগুলো শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১৩ এপ্রিল