এবার এশার গলায় ফুলের মালা
ঢাকা: অবশেষে কবি সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশার পাশে দাঁড়ালেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ।আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এশার বনশ্রীর বাসায় তার সাথে দেখা করেন নেতৃবৃন্দ। এসময় এশার গলায় ফুলের মালা দিয়ে তারা এশাকে বরণ করে নেন।
এসময় সাবেক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবু জয়দেব নন্দী,ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, হাসানুজ্জামান তারেক, শিহাবুজ্জামান শিহাব, শারমিন সুলতানা লিলি, এস.এম তরিকুল ইসলাম, আশিক রনো, আফরিন নুসরাত প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সহ-সভাপতি বাবু জয়দেব নন্দী বলেন, এশার বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী হিসেবে এটি কোনোভাবেই গ্রহণ করা যায় না।তিনি আরো বলেন, যদি এশা কোনো অন্যায় করতো তাহলে তার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে শাস্তি প্রদান করতো। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। এসময় তিনি এশার বহিষ্কারাদেশ দ্রুত তুলে নিয়ে দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার অহ্বান জানান।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জয়দেব নন্দী সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তার ফেসবুক টাইমলাইনে ফুলের মালা সম্বলিত এশার ছবি আর ক্যাপশনে ছিলো ‘এশার পাশে আমরা সাবেক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ’ ।
এশার সহপাঠীরা বলেন, এশার ক্ষেত্রে যা হয়েছে তা দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। ছাত্রলীগ নেত্রী হয়ে কিছুটা বিরূপ মনোভাব দেখাতেন এশা। এশার প্রতিপক্ষরা জুতার মালা পরানোর সময় রুমের বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। এসময় এশাকে শারীরিকভাবে নিগৃহীত করা হয় । এনিয়ে বুধবার রাত থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে এশার প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টি হয় ।
যখন আহত ছাত্রী নিজে স্বীকার করে এশা তার রগ কাটেনি।রাগের মাথায় তিনি কাঁচে লাথি মারে তাতে তার পা কেটে যায় এরকম একটি ভিডিও ছড়িয়ে পরলে সকলের ভুল ভাঙে।তাছাড়া অনেকেই এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেন ।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) এক ছাত্রীর রগ কেটে দেয়ার গুজব ছড়িয়ে এশাকে জুতার মালা পড়িয়ে, গায়ের কাপড় টেনে হিঁচড়ে ছিড়ে ফেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এসব ছবি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।এরপর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি তাকে বহিষ্কার করে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়।
ভিকটিম মোর্শেদাসহ হল শাখা ছাত্রলীগের পদধারী যেসব মেয়েরা কোটা সংস্কার আন্দোলন করে মঙ্গলবার রাতে হলে ফিরেছিলেন, সেসব মেয়েদের ডেকে এশা বকাঝকা করেন। এমন আচরণের পর মোর্শেদা তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং কক্ষ থেমে বের হয়ে যেতে চান।কিন্তু কক্ষের দরজা বন্ধ ছিল। আর এ সময় মোর্শেদা খানম এশার কক্ষের জানালার কাঁচে লাথি দেয়ার পর তার পা কেটে যায়।
এ এম বি/পাথরঘাটা নিউজ