পিতার হাত-পা ও চোখ বেঁধে মায়ের সামনে কিশোরী মেয়ে গণধর্ষণ
অনলাইন ডেস্কঃ ভোলার তজুমদ্দিনে রাতের আধাঁরে চরমোজাম্মেলে পিতার হাত-পা ও চোখ বেঁধে মায়ের সামনে কিশোরী মেয়ে গণধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে তজুমদ্দিন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২ জনের নাম উল্লেখসহ ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
থানা পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরমোজাম্মেলে গত রাত দেড়টায় ৬ জনের একটি দল চরের বাসিন্দা মুরাদের ঘরের সামনে এসে দরজায় নাড়াচাড়া করতে থাকলে ঘুম থেকে উঠে মুরাদ জানতে চায় তারা কারা।
এসময় তারা জানান, আমাদের বাড়ি অনেক দূরে আমাদেরকে একটু পানি দেন। পরে মুরাদ ঘরের দরজা খুললে তারা ঘরে ঢুকেই মুরাদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলেন এবং মুরাদের স্ত্রী হাসিনা বেগম ও কিশোরী মেয়েকে (১৬) টেনে হিঁচড়ে ঘর থেকে বাহিরে নিয়ে যায়। পরে মাকেও বেঁধে তার সামনে ৬ লম্পট পালাক্রমে কিশোরীকে গণধর্ষণ করে।
এসময় কিশোরীর চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন লাইট নিয়ে বের হলে ৬ ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। লাইটের আলোতে ২ ধর্ষককে চিনতে পারে ধর্ষিতার মা হাসিনা বেগম। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় বাবা, মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তজুমদ্দিনে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে চরমোজাম্মেলের ৬নং ওয়াডের ইব্ররাহিম মাঝির ছেলে সালাউদ্দিন (৩৫) ও একই এলাকার রহিম সারেংয়ের ছেলে মনির (২৭) নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ এর (সংশোধীত) ২০০৩ এর ৯এর (৩)/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ০৪।
এব্যাপারে তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক আহাম্মদ জানান, অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ এম বি । পি এন