দেশজুড়ে মৌসুমী,র ‘রাত্রির যাত্রী’ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
অনলাইন ডেস্কঃ ষাট দশক হতে নব্বই দশক পর্যন্ত দেশের চলচ্চিত্রে হাজার হাজার দর্শক মাতিয়ে রেখেছিলেন। সেই চলচ্চিত্র যখন অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ যখন চলচ্চিত্র থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখছে ঠিক সেই সময় নির্মাতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব নির্মান করেছেন আলোচিত সিনেমা রাত্রির যাত্রী। যা মুক্তির আগের দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
চলচ্চিত্রের এই ক্লান্তি লগ্নে তিনি এগিয়ে যাচ্ছন নতুন সৃষ্টির উন্মাদনায়। যেখানে একটি দেশের প্রাণ হচ্ছে গ্রাম, আর সেই গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের বিনোদন হচ্ছে সিনেমা। তারা সারাসপ্তাহ কাজ শেষে একটি চলচ্চিত্রে বিনোদন খুঁজে নিতে চায়। গ্রামের মা-বোন, বাবা-ভাই যারা আছেন তারা বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে চলচ্চিত্র চায়। গ্রামের মানুষেকে গুরুত্ব দিয়েই তার এ অনবদ্ধ নির্মান।
ইতোমধ্যে শহর-গ্রাম থেকে শুরু করে দেশের বাইরেও চলছে এ সিনেমা নিয়ে ব্যপক আলোচনা। সিমেনাটি যাতে দ্রুত মুক্তি পায় এ প্রত্যাশা এখন সিনেমা প্রেমীদের মনে।
এ প্রসঙ্গে পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, “সিমেনাটি এই মাসেই সেন্সারে যাচ্ছে। গ্রামের মানুষসহ সকল স্তরের মানুষের কথা ভেবে আমি ব্যতিক্রমী এ সিনেমা নির্মাণের উদ্যোগ নেই। ইতোমধ্যে এ সিনেমাটির প্রচারণায় এসেছে নুতন ধারা। প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য ভেবেছি নতুন ভাবনা। প্রচারণার জন্য নানা ভাবে উৎসাহিত করছি তরুণদের।
একটি চলচ্চিত্রকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যার ফলে আজ, বাংলাদেশের গ্রামে গ্রামে, থানায় থানায়, জেলায় জেলায়, বিভাগে বিভাগে রাত্রির যাত্রীর নাম।
তিনি আরো বলেন, সারাদেশের সহযাত্রী ভালোবাসায় রাত্রির যাত্রী আজ সকলের একটি প্রিয় নাম প্রিয় ব্যান্ড হয়েছে। আমরা সবার ভালোবাসা সহযোগিতায় সহযাত্রী বন্ধুদের সঙ্গে রাত্রির যাত্রীকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। সিনেমা প্রেমী মানুষ যে ধরণের সিনেমা প্রত্যাশা করে আশাকরি রাত্রীর যাত্রীর মাধ্যমে তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হবে। এজন্য দেশের সিনেমা প্রেমীদের সহ-পরিবারে হলে এসে সিনেমাটি দেখার জন্য আহবান করছি।
পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব আশির দশকের শুরুতে “প্রেক্ষাপট” নাট্যদল নিয়ে তিনি শুরু করেন তার পথচলা। পরিচালনা করেন বহুল আলোচিত মঞ্চনাটক - ‘ইদানীং তিনি ভদ্রলোক’, ‘খাঁটি মীরজাফরের বাচ্চা’, ‘ব্যারিকেড চারিদিক’, ‘সারাদিন পর’, ‘উল্টারাত পাল্টাদিন’ ইত্যাদি উল্লেখ্যযোগ্য।
তার নির্মিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক ভদ্রলোক খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তিনি শুধু মঞ্চে থেমে থাকেননি। উত্তাল আশির দশকে দেশকে নিয়ে বানিয়েছিলেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র - বখাটে ও বিজয় নব্বই।
যুক্ত ছিলেন গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনের সঙ্গে, রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনি পাশাপাশি প্যাকেজ নাটকের আন্দোলন, সম্মিলিত জোট গঠনের আন্দোলন, শর্ট ফিল্ম মুভমেন্ট সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশে একশান থ্রীলার ড্রামার রূপকার এই গুণী নির্মাতা।
তার হাতে নির্মিত হয় পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে নাটক, বাংলাদেশ সেনা বাহিনীকে নিয়ে থিম সং ও টিভি ফিলার। চলচ্চিত্র, মঞ্চ ও টিভিতে তার সান্নিধ্যে এসে অনেকেই আজ সুপ্রতিষ্ঠিত।
কিংবদন্তী পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নতুন আঙ্গিকে আশা জাগানো সিনেমা ‘রাত্রির যাত্রী’। এই সিনেমায় জল্পনা আর কল্পনার নানান কথা উকি মারে নানান ভাবনা জেগে উঠে মনের ভিতরে আর বাহিরে।
রাত্রির যাত্রী সিনেমাটির সহযাত্রী হিসেবে আছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী, সালাহ উদ্দিন লাভলু ও আনিসুর রহমান মিলন, সম্রাট, এটিএম শামসুজ্জামা, শহিদুল আলম সাচ্চু, নায়লা নাঈম, মারজুক রাসেল, অরুনা বিশ্বাস, সাদিয়া আরেফিন, রেবেকা সুলতানা, শিমুল খান, মুক্তা হাসান, জিয়া তালুকদার, সোনিয়া হোসেন, ইকবাল হাসান, শিমুল মোস্তফা, আনান জামান, ম আ সালাম, আসরাফ কবির, কালা আজিজ, চিকন আলীসহ অনেকে।
এ এ ম বি। পি এন