সৈয়দপুরের ঢেলাপীরে বাইসাইকেলের হাট
গরু, ছাগল, ধান, চাল, তামাক, গমসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের হাটের কথা সবাই জানলেও কিন্তু খোলা মাঠে বাইসাইকেলের হাটের কথা অনেকেরই অজানা। সেই বাইসাইকেলের বিরাট হাটটি বসছে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে।
সৈয়দপুর উপজেলার ঢেলাপীরের বিশাল এলাকাজুড়ে বসে সাইকেলের হাট। সপ্তাহের মঙ্গল ও শুক্রবার বসা এ হাটে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন সাইকেল নিয়ে আসে বিক্রির জন্য। গরু-ছাগলের লাগাম ধরে দাঁড়িয়ে থাকার মতো সাইকেলের হ্যান্ডেল ধরে লোকজন অপেক্ষা করে ক্রেতার আশায়। দুপুর থেকে হাটে সাইকেল নিয়ে লোকজন আসা শুরু হয় এবং বেলা ৩টার মধ্যে বিশাল এলাকা কানায় কানায় ভরে যায় নতুন আর পুরনো সাইকেলে। ফিনিক্স, চায়না, বাইশ, ছাবিশ, রয়্যাল, শিশুদের সাইকেলসহ সব ধরনের সাইকেল পাওয়া যায় এ হাটে।
এখানে কেউ আসে পুরনো সাইকেল বিক্রি করে নতুন সাইকেল কিনতে, কেউ বা আসে অল্প টাকায় পুরনো সাইকেল কিনতে। আবার অনেকে আসে তার চুরি যাওয়া সাইকেলটি খুঁজতে। এ হাটে ক্রেতাদের সমাগম প্রচুর থাকায় অনেক দোকানদার তাদের দোকানের সাইকেল বিক্রির জন্য এখানে নিয়ে আসে। এখানে দেশীয় বাইসাইকেলের পাশাপাশি প্রচুর ভারতীয় বাইসাইকেলেরও আমদানি ঘটে।
হাটে আসা সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের দারোয়ানী গ্রামের আবদুল মতিন, ছবুর আলী, সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলি গ্রামের জসিয়ার রহমান জানান অনেক দিন ধরে তাদের পুরনো সাইকেল চেষ্টা করেও গ্রামে বিক্রি করতে না পারায় এখানে এসেছে।
তারা জানান এখানে অনেক ক্রেতাই তাদের সাইকেল দেখছে এবং দাম দর করছে। সাইকেল কিনতে আসা সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের চাঁদেরহাট গ্রামের মতিয়ার রহমান জানান দেখে শুনে তার পছন্দের সাইকেলটি এখান থেকে কিনে নিয়ে যাবে।
ঢেলাপীর হাটের ইজারাদার খালেকুজ্জামান শাহ জানান প্রতি হাটে এক থেকে দেড় শ’ বাইসাইকেল বেচা-কেনা হয়। এ ছাড়া পুরনো রিকশা ও ভ্যানও বেচা-কেনা হয় এ হাটে বলে তিনি জানান।