শিশুর বমি: যেনে নিন কী করবেন?

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৮:৫১ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ | আপডেট: ০৪:০১ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

---পাকস্থলীর ভাইরাসের কারণে অথবা পাকস্থলীর অনুপযোগী খাবার গ্রহণ করলে বাচ্চাদের সচরাচর বমি হয়। কিছু সংখ্যক শিশু খাবারের পরে কিংবা ঢেঁকুর তোলার পরে থুতু ফেলে। এটা বমি নয় এবং এর মানে এই নয় যে বাচ্চার ভাইরাস রয়েছে। যদি ঠিকমতো যত্ন নেওয়া যায়, তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বমি ৮ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়।

শিশু বমি করতে থাকলে কী করবেন?

ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে বুকের দুধ এবং ফর্মুলা দুধ বন্ধ রাখুন।
ছোট বা বড় বাচ্চার বমি বন্ধ হওয়া পর্যন্ত দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করুন।
বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করুন।
প্রতিবার ঘন ঘন অল্পমাত্রার দুই থেকে চার আউন্স স্বচ্ছ তরল খাওয়ানো শুরু করুন।
৮ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে বড় বাচ্চা আর বমি না করলে তাকে শক্ত খাবার, যেমন—ভাত, সিরিয়াল, শুকনো ক্রেকারস অথবা শুকনো টোস্ট খেতে দিন।
২৪ ঘণ্টা পরে বমি বন্ধ না হলে

বাচ্চাকে দুধ অথবা ফর্মুলা এবং দুধজাত খাবার আস্তে আস্তে খাওয়ান। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস বাড়িয়ে তুলুন।

কী করবেন না

বাচ্চাকে বেশি পরিমাণ পানীয় দেবেন না। এতে বমি বাড়বে।
২৪ ঘণ্টায় বাচ্চাকে দুধ বা দুধজাত পণ্য যেমন—পনির, দই, আইসক্রিম ইত্যাদি দেবেন না।
শিশুকে বমি বন্ধ করার ওষুধ দেবেন না।
কখন ডাক্তার দেখাবেন

১২ ঘণ্টার মধ্যে বমির উন্নতি না হলে।
শিশুর বয়স ছয় মাসের কম হলে।
শিশু দুই ঘণ্টার বেশি পেট ব্যথার অভিযোগ করলে।
১২ ঘণ্টার মধ্যে শিশুর প্রস্রাব না হলে।
শিশুর ঠোঁট, জিহ্ববা ও মুখগহ্ববর শুকনো থাকলে।
শিশু কোনো তরল না খেতে পারলে।
শিশু খুব উত্তেজিত থাকলে কিংবা অতিরিক্ত ঘুমালে।
প্রতিরোধ

যতদূর সম্ভব শিশুকে অসুস্থ লোকজনের কাছ থেকে দূরে রাখবেন।
শিশুকে হিমায়িত খাবার খাওয়াবেন না।
খাবার আগে এবং শৌচকাজের পরে শিশুকে ভালো করে হাত ধোয়া শেখান।

লেখক : ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল, সহযোগী অধ্যাপক অর্থোপেডিক ও ট্রমা বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)