পাথরঘাটা মঠবাড়িয়ায়”ঝুঁকিপূর্ন সেতু” চলাচলে ভোগান্তি

অনলাইন ডেস্কঃ পাথরঘাটা মঠবাড়িয়া সড়কে পাঁচটি বেইলি সেতু মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। উপকূলীয় দুই উপজেলার সড়কপথের যাতায়াতের একমাত্র সড়কের সেতুগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় গত তিন মাস আগে তিনটি সেতুর স্লিপার খালে পড়ে যাওয়ায় তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
যাতায়াতের কোনো বিকল্প পথ না থাকায় সেতু দিয়ে প্রতিদিন দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রতিদিন ওই চলাচল অনুপযোগী সেতু দিয়ে চলতে গিয়ে যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স, মাহিন্দ্রসহ রিকশা ও ভ্যান প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ও মৎস্য আহরণ কেন্দ্র পাথরঘাটার চরদুয়ানীগামী সড়কের আবাসন সংলগ্ন দুটি সেতুর অবস্থাই নাজুক। একটি থেকে আরেকটি সেতুর দূরত্ব তিনশ’ ফুট। বহু পুরনো সেতুর স্লিপারে মরিচা ধরে কয়েকটি স্লিপার খালে পড়ে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষক জাকির হোসেন দর্জি জানান, এ সেতু দুটি সংলগ্ন একটি কলেজ, একটি সিনিয়র মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক-প্রাথমিকসহ ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বহু শিক্ষার্থীসহ দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। গত তিন মাস ধরে এ সেতু নাজুক অবস্থায় থাকলেও এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
স্থানীয় কচুবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছে, নাজুক সেতু দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মাহেন্দ্র চালক আ. রহমান জানান, যাত্রী নামিয়ে খুব সাবধানে সেতু পার করলেও সেতুর অবস্থা এতই নাজুক যে, সেখানে প্রায়ই গাড়ির চাকা ঢুকে পড়ে।
সাপলেজা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিরাজ মিয়া জানান, গত প্রায় ২৫-৩০ বছর আগের নির্মাণ করা এ সেতু তিনটি পাঁচ বছর আগে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়লে মাঝখানে কর্তৃপক্ষ সংস্কার করলেও বেশিদিন তা স্থায়ী হয়নি। দুই উপজেলার জনসাধারণের চলাচলকারী এ নাজুক সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী পিকআপসহ জনসাধারণ খাদের মধ্যে পড়ে গিয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ব্রিজের নাজুক অবস্থার কারণে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম ওই চলাচল অযোগ্য সেতুর কারণে এলাকাবাসী দারুণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্বীকার করে বলেন, এই সড়কের পাশাপাশি তিনটি স্টিল সেতু সংস্কারের জন্য ১৪ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদনও পাওয়া গেছে। শিগগিরই সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।।
এ এম বি। পাথরঘাটা নিউজ