৫৮ ইলিশের দাম ২০ টাকা
না, এটা সায়েস্তা খানের আমলের কোনো গল্প নয়। পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর বিভিন্ন হাটবাজারে প্রতিদিনই দেখা যায় এ চিত্র।
মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) ইন্দুরকানীর বালিপাড়ায় মাত্র ২০ টাকায় কেনা গেছে ১৫৩২টি পোনা মাছ এবং ৫৮টি ইলিশের বাচ্চা। প্রতি ভাগ ২০ টাকা দরে বিক্রি হয় পোনা, তাপসী ও ইলিশের বাচ্চা। এর ১ ভাগের মাছ গুনে পাওয়া গেছে এ সংখ্যা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কচা ও বলেশ্বর নদীর চর এলাকায় ও বড় বড় খালে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক চরগড়া জাল পাতা হয়। এসব জালে ছোট মাছ ধরা পড়ে। নদীর চরে টানা জাল নামে আরো একটি বিশেষ জাল (বেড়) টেনে ছোট ছোট বাচ্চা ধরা হয়। আবার নদীর ভাঙ্গন এলাকায় যেখানে স্রোত বেশি পড়ে সেখানে বাধা জাল পাতা হয়। এসব জালে লাখ লাখ পোনা ও ইলিশের বাচ্চা ধরা পড়ে।
আর এসব মাছ বিভিন্ন হাট বাজারে কখনো ১০০ টাকা কেজি হিসাবে আবার কখনো ২০ টাকা ভাগ দিয়ে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও এক শ্রেণীর লোক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে গ্রামে গ্রামে ফেরি করে এসব ছোট মাছ বিক্রি করে থাকে। মাঝে মাঝে দুই একটি অভিযানে এসব অবৈধ জাল আটক করে পুড়িয়ে ফেলা হলেও হাজারে হাজার জেলেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জেলে জানায়, উপজেলার কলারণ, চন্ডিপুর, বালিপাড়া, সাউথখালী, টগড়া, টেংরাখালী এবং লাহুরী এলাকায় প্রতিদিন দিনে ও রাতে অর্ধশত অবৈধ বাধাজাল পাতা হয়। এর প্রত্যেকটি বাধাজালে ৩ থেকে ৪ ঝুড়ি মাছের পোনা পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইন্দুরকানী উপজেরা মৎস্য কর্মকর্তা শোখ আসাদুজ্জামান জানান, “এসব নিয়ন্ত্রয়ণের জন্য আমি সরকার থেকে যে অভিযান খরচ পাই তা অতি সামান্য। তাতে পর্যাপ্ত অভিযান পরিচালনা করা যায় না। তারপরও আমি সপ্তাহে ১টা অভিযান পরিচালনা করি। এছাড়া কিছু কিছু দুর্গম এলাকা আছে যেখানে প্রশাসশনের লোকজনও যেতে ইতঃস্তত করে। সেসব এলাকায় সাধারণত বাধা জাল পাতা হয়।(সূত্রঃ নয়াদিগন্ত)
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১০ এপ্রিল