গরম নিয়ে ক্রিকেটারদের জন্য সতর্কতা
অনলাইন ডেস্কঃ
জুন মাস থেকেই মূলত বাংলাদেশে শুরু হয় টানা বৃষ্টি । যে কারণে এপ্রিল ও মে মাসে ঝড়ের শঙ্কা থাকলেও বাংলাদেশে খেলা চালিয়ে নিতে হয়। সেই সময় খেলোয়াড়দের কাছে আরেক ভোগান্তির নাম প্রচণ্ড তাপ ও ভ্যাপসা গরম।
কিন্তু এ সময়টাতেই বিসিবিকে আয়োজন করতে হয় ঘরোয়া ক্রিকেটের আসর। গেল বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ মাঠে গড়িয়েছিল এমন সময়ই। প্রচণ্ড গরমে অনেক ক্রিকেটারই নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হন।
আর সেই কারণেই এবার দ্রুতই শেষ করা হয়েছে ঢাকা লীগ। তবে ১০ই এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ। এ সময় মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হতে পারে কালবৈশাখীর প্রভাবে। সেই সঙ্গে থাকবে প্রচণ্ড গরমও। তাই চারদিনের প্রথম শ্রেণির ম্যাচে সারা দিন ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং যে বেশ কঠিন হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার গরম নিয়ে আছেন দুশ্চিন্তায়। তবে তাদের জন্য রয়েছে সুখবর।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি গরমের মধ্যে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দিতে যাচ্ছে নতুন গাইড লাইন, যা বাস্তবায়ন করতে হবে আইসিসির প্রতিটি সদস্য দেশকেই। মূলত ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যগত বিষয়টিকে মাথায় রেখেই এ গাইড লাইন তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘একটা গাইড লাইন আইসিসি তৈরি করছে।
নিরক্ষীয় অঞ্চলের মেম্বার দেশগুলো একই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে আইসিসি কাজ হাতে নিয়েছে। খুব শিগগিরই আমরা একটা গাইডলাইন পাবো। আদর্শগতভাবে বলতে গেলে স্বাস্থ্যকে কেন্দ্র করেই ক্যালেন্ডার হওয়া উচিত।’
বিসিএল গরমেই হচ্ছে তাই এরই মধ্যে বিসিবি আইসিসির গাইড লাইন অনুসারে বাতলে দিয়েছে ক্রিকেটারদের করণীয়। এ বিষয়ে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘সাধারণত এপ্রিল ও মে মাসে অতিরিক্ত তাপমাত্রা এবং বাতাসে আর্দ্রতা থাকে। থাকে তাপদাহ। দুটোর কম্বিনেশনে হিট স্ট্রেস ইনডেক্সের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে খেলোয়াড়দের জন্য তা ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আমাদের দেশে যেহেতু এরকম বৈরী আবহাওয়ায় খেলতে হয় তাই খেলার জন্য প্রস্তুতি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্লেয়ারদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই তাপ ও আর্দ্রতা যদি দুটি একসঙ্গে অ্যাফেক্ট করে সেক্ষেত্রে ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট বড় ভূমিকা রাখবে। এই ব্যাপারে তাদের কিছু দিকনির্দেশনা দেয়া আছে।
যেমন পিপাসা পেলে পানি খেলে হবে না, ঘড়ি ধরে একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর পানি খেতে হবে। পিপাসা পাক না পাক। প্রস্রাবের রংটা গুরুত্বপূর্ণ। রংয়ের ওপরে নির্ভর করে আমাদের ডিহাইড্রেশন স্ট্যাটাস। সেটা যতক্ষণ স্বাভাবিক না হচ্ছে পানি খেয়ে যেতে হবে।’
এছাড়ও কি ধরনের পোশাক পরতে হবে তা নিয়ে বিসিবির চিকিৎসক বলেন, ‘যত হালকা রংয়ের কাপড় পরা যায়, যতটা সম্ভব ঢিলাঢালা কাপড় পরতে হবে যেন শরীরের মধ্যে একটা স্পেস থাকে।’
এছাড়াও গরমের কারণে খেলার সময় কিছুটা এগিয়ে আনারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির চিকিৎসক। তিনি বলেন, ‘অনেক দেশেই সেটা পরীক্ষামূলকভাবে করা হচ্ছে। সকাল ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত দিনের সবচাইতে গরম সময় থাকে। তাই খেলার সময়টা অনেক দেশেই এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।
খেলাটা আমরা যদি ৯টার বদলে সকাল ৭টায় শুরু করতে পারি সেক্ষেত্রে ভালো সময় পেয়ে যাবো এবং তাপ ততটা তীব্র হবে না।
পাথরঘাটা নিউজ/এজেআর/০৯ এপ্রিল