দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা
ঢাকা: পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ও কোটা সংস্কারের দাবিতে সোমবার (০৮ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করার কর্মসূচি দিয়েছে আন্দোলনকারী।
আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসান আল মামুন রোববার (৮ এপ্রিল) রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে রাত ১০টার দিকেও থেমে থেমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছিল। পুলিশও আন্দোলনকারীদের করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে। টিয়ারশেলের আঘাতে রাতে ৮ ছাত্রসহ ৯ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এর আগে রোববার (৮ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টা থেকে পাঁচ দফা দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ শুরু করে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’। সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে আন্দোলনকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা করে পুলিশ।
শাহবাগে পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের কারণে ছত্রভঙ্গ হয়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের সামনে অবস্থান নেন। সেখান থেকে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়েন। এসময় পুলিশও তাদের লক্ষ্য করে জলকামান থেকে পানি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
এর আগে বেলা ২টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। আড়াইটার দিকে তারা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, টিএসসির রাজু ভাস্কর্য ও নীলক্ষেত হয়ে শাহবাগে অবস্থান নেন।
সেসময় শাহবাগ থানার সামনে থেকে জলকামান এগুতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বাঁশ দিয়ে পথ আটকিয়ে দেন। তারা জলকামানের সামনে বসে পড়ে কোটা পদ্ধতির সংস্কার চেয়ে স্লোগান দেন।
কোটা পদ্ধতির সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও জেলা পর্যায়ে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন চাকরি প্রত্যাশীরা।
তাদের দাবিগুলো হলো- কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ ভাগ থেকে ১০ ভাগে নিয়ে আসা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্যপদে মেধা তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা এবং চাকরি নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা।
এন এ এস/পাথরঘাটা নিউজ