সালিসেব বৈঠকে গৃহবধূকে জুতাপেটা, গ্রেপ্তার ৪
গত শনিবার ভোলার তজুমদ্দিনে একটি সালিস বৈঠকে এক গৃহবধূকে জুতাপেটা করা হয়। অপমান অপদস্তের ফলে গৃহবধূ সীমা বেগম সাথী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে সালিসকারী চারজনকে। পালিয়ে গেছেন মামলার অন্যতম আসামি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা বেগম সাজু ও সাবেক ইউপি মেম্বার সিরাজুল হক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চাঁদপুর ইউনিয়নের মাওলানাকান্দি গ্রামে রিয়াজ রহমানের স্ত্রী সীমা বেগম সাথী। গত ২৩ মার্চ রাতে তিনি বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় চাচাতো দেবর ফরিদ ঘরে ঢোকে। প্রতিবেশীরা ফরিদকে ধরে চড়ধাপ্পড় দিয়ে ছেড়ে দেয়। সাথীর স্বামীসহ পরিবারের লোকজন এ বিষয়ে মামলা করতে গেলে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা বেগম সাজু মীমাংসার কথা বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
৩১ মার্চ ফাতেমা বেগমের সভাপতিত্বে মাওলানাকান্দি গ্রামে সালিস বৈঠকের মাধ্যমে গৃহবধূ সীমা বেগম সাথীর বিরুদ্ধে পরকীয়া প্রেমের অভিযোগ তোলা হয়। সালিসে ২০ ঘা করে জুতাপেটা করার নির্দেশ দেওয়া হয় দেবর-ভাবীকে। সালিসে অংশগ্রহণকারীরা নানা আপত্তিকর কথাও বলে। এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় বিষপান করেন গৃহবধূ। স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে ভোলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে ছয় সালিসকারীর বিরুদ্ধে সোমবার থানায় মামলা করেন গৃহবধূর মা বিবি ফাতেমা। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে এজাহারভুক্ত চার আসামিকে। তাঁরা হলেন মুকবুল হোসেন, হানিফ দালাল, রেহানা বেগম ও ফরিদ। সালিসে নেতৃত্ব দেওয়া ফাতেমা বেগম ও সিরাজুল হক পালিয়ে গেছেন।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৪ এপ্রিল