রাজাপুরে সীল-স্বাক্ষর জাল করে রিপোর্ট দিচ্ছে দুটি ডায়াগনস্টিক
ঝালকাঠির রাজাপুরে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে টেকনোলজিস্টের স্বাক্ষর ও সীল ব্যবহার করে রোগীদের ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ওই দুটি মেডিকেল হলো- রাজাপুর মোড় এলাকার মমতাজ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং নিউ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পূর্বে কর্মরত টেকনোলজিস্ট নাজমুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে তার স্বাক্ষর ও সীল ব্যবহার করে গত ৩১ মার্চ থেকে ৪ দিন ধরে বিভিন্ন রোগীকে নানা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে ওই দুই কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনায় টেকনোলজিস্ট নাজমুল ইসলাম ইউএনও আফরোজা বেগম পারুলের কাছে প্রমাণসহ মৌখিক অভিযোগ করেছেন। এর আগে একই ঘটনায় রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নাজমুল ইসলাম।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নাজমুল ইসলাম জানান, তিনি রাজাপুরের একই মালিকের মেডিকেল মোড়ের মমতাজ ডায়গনিস্টিক সেন্টার ও রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনের নিউ ডিজিটাল ডায়গনিস্টিক সেন্টারে ২০১৬ সাল থেকে চাকুরি করে আসছেন। ডায়গনিষ্টিক সেন্টারের বিভিন্ন অনিয়ম ও মেশিনের ত্রুটির কারণে তিনি গত ৩১ মার্চ শুক্রবার চাকুরি ছেড়ে দিয়ে চলে যান। কিন্তু গত ১ এপ্রিল শনিবার থেকে ওই ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ৪ শেয়ার মালিকের মধ্যে এমদাদুল হক চান ও নজরুল ইসলাম অল্ট্রাসোগ্রাম ও এক্সা রে সহ বিভিন্ন ভুয়া রিপোর্ট তৈরী করে আমার নামের জাল সিল ও স্বাক্ষর দিয়ে অগণিত রোগিকে প্রদান করে আসছেন। দুটি প্রতিষ্ঠানের জন্য আরো একজন টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিতে বললেও মালিক পক্ষ তা শুনেনি। ফলে আমি ছুটিতে গেলে একই রকম ভুয়া রিপোর্ট তৈরী করে রোগীকে দিতো ডায়াগনষ্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ।
ওই প্রতিষ্ঠানের ঝাড়ুদার দিয়ে ইসিজি করানো হয় এবং মালিক ও কর্মচারি নজরুল ইসলাম এক্সরে করেন বলেও অভিযোগ নাজমুলের।
এছাড়া রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ করারও অভিযোগ আছে। এ সকল অনিয়মের কোন প্রতিবাদ করলে যেভাবে যা আছে তা দিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে মালিক পক্ষের এমদাদুল হক চান ও নজরুল ইসলাম তাকে চাপ দিয়ে বাধ্য করে আসছিলো দীর্ঘদিন ধরে।
এ বিষয়ে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের অশিংধারী মালিক এমদাদুল হক চান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, তাদের নতুন টেকনোলজিস্ট আছে, মরিয়ম। তিনি রিপোর্ট দিচ্ছেন। মরিয়ম নতুন যোগদান করায় তার সীল ছিল না বিদায় নাজমুলের সীল ব্যবহার করা হয়েছে। একজনের সীল অন্য জন কিভাবে ব্যবহার করে রিপোর্ট দেয়, এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি ঐ মালিক।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আরেফিন জানান, নজরুল ইসলামের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজাপুর নিবার্হী অফিসার আফরোজা বেগম পারুল জানান, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৩ এপ্রিল