পাথরঘাটায় হাসপাতাল আছে, নেই সেবা
এএসএম জসিম, পাথরঘাটা
চরম অব্যবস্থাপনায় চলছে বরগুনা পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবা। রোগী আছে নেই ডাক্তার। কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত থাকার জন্য সরকারের কঠোর নির্দেশনা থাকার পরও তোয়াক্কা করছেন না এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা।
পাথরঘাটা উপজেলায় প্রায় দুই লাখ মানুষের বসবাস। তার বিপরীতে ডাক্তার আছে মাত্র ৪জন। হাসপাতাল ঠিকই আছে নেই শুধু সেবা। চরম অসুস্থতার সময়ও এখানে চিকিৎসকদের সন্ধান পাওয়া যায় না।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব ও কঠোর পদক্ষেপ না নেয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ অনিয়মের পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ আগত রোগীদের। এর ফলে হাসপাতাল থাকতেও সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন দুর দুরান্ত থেকে আসা রোগীরা।
উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়ন থেকে আসা রোগীর অভিভাবক শাহজাহান পহলান পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, কয়েকদিন ধরে তার নাতি ১৪ মাস বয়সী আরাফ পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। গত সোমবার ভোর রাতে তাকে পাথরঘাটা হাসপাতালের স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা (টিএইচএ) মো. মাসুমুল হক খাঁন তাকে দেখে ভর্তি করিয়ে ভিজিট নেয়া পর, পরের দিন পর্যন্ত কোন খবর নেননি তিনি। তাকে ফোনে ডাকা হলেও সে ধমকদিয়ে বরেন এটা আমার দায়িত্ব না। এটা কেমন হাসপাতাল বুজতে পারছিনা আমাদের। আমাদের সাধারন মানুয়ের এই অবস্থা দেখার মত কি কেউ নেই।
তিনি পাথরঘাটা নিউজকে আরো বলেন, সোমবার ভোর ৫টা থেকে পরের দিন পর্যন্ত কোন ডাক্তার হাসপাতালের ওয়ার্ডে রোগীর খবর নেননি। এভাবে প্রতিদিনই উপজেলার সেবা বঞ্চিত রোগীদের অন্যত্র চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরগুনার গাজী মাহমুদ থেকে চিকিৎসা নিতে আসা মো. আবুল হোসেন (৩৫) পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, আমি দুইদিন ধরে এই হাসপাতালে আছি এর মধ্যে আজ সকালে ডাক্তার এসে দেখে গেছে এর মধ্যে কেউ আসে নাই দেখতে। আমরা গরীব মানুষ কোথায় যাব ডাক্তার দেখাতে। আমাদের বরিশাল গিয়ে ডাক্তার দেখাতে অনেক টাকাা লাগে, এত টাহা পাব কোথায়।
এ অনিয়মের কথা অস্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাসুমুল হক খাঁন পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, হাসপাতালে ২৮ জন ডাক্তার থাকার কথা সেখানে আমিসহ ৪জন ডাক্তার আছি। এই ৪জনের মধ্যে আবার কেউ ছুুটিতে। এই অল্প সংখ্যক ডাক্তার দিয়ে আমরা সম্পূর্ন ভাবে চিকিৎসা প্রধান করতে সক্ষম হচ্ছি না। সে হিসেবে আমাদের যতটুকু সম্বব সেবা দিয়ে যাচ্ছি।