তালতলীতে ধর্ষনে বাধা দেয়ায় গৃহবধুকে কুপিয়ে জখম
গৃহবধুকে ধর্ষনে বাধা দেয়ায় তাকে কুপিয়ে জখম করেছে একদল দুর্বৃত্ত। মুর্মূষ অবস্থায় ওই গৃহবধুকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২ এপ্রিল) দুপুরে গৃহবধুর স্বামী বাদী হয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেছেন। বিচারক মো. জুলফিকার আলী খান মামলাটি গ্রহন করে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
মামলায় আসামীরা হলো, তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের বাদুরগাছা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মনির ও তার সহযোগী রেজাউল, মিজান, নজরুল ও আমির হোসেন।
এরআগে শুক্রবার এ ঘটনাটি ঘটেছে ওই গ্রামে বাদীর বসত ঘরে বসে।
মামলার বাদী খোকন চৌকিদার জানান, তিনি ঢাকা শহরে দিন মজুরের কাজ করেন। তার স্ত্রী বাড়ীতে একা বসবাস করে। প্রতিবেশী মনির তার স্ত্রীকে একা পেয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে উত্যাক্ত করে। গৃহবধু মান সম্মান নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে।
শুক্রবার সকালে গৃহবধু তার ঘরে বসে রান্না করার জন্য লাউশাক কাটতে ছিল। এমন সময় মনির খোলা দরজা দিয়ে গৃহবধুর ঘরে ঢুকে ধর্ষন করার জন্য ঝাপটে ধরে মাটিতে শুইয়ে ফেলে পরিহিত কাপড় চোপড় খুলে শ্লীলতার ব্যাঘাত ঘটায়। গৃহবধুর ডাক চিৎকারে প্রতিবেশী নুরনাহার এগিয়ে এলে মনির পালিয়ে যায়। একটু পর গৃহবধু মনিরের বাবা নজরুল ইসলামের কাছে অভিযোগ দিয়ে তার ঘরে ফেরার পথে ওই আসামীরা প্রতিশোধ নেয়ার জন্য গৃহবধুকে দাও ও লাঠি নিয়ে আক্রোমন করে। মনির ধারালো দাও দিয়ে গৃহবধুকে খুন করার জন্য মাথায় কোপ দিয়ে রক্তাক্ত হাড় কাটা জখম করে।
রক্তাক্ত অবস্থায় গৃহবধুকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ভর্তি করায়।
গৃহবধুর স্বামী খোকন চৌকিদার বলেন, শনিবার সকালে আমি ঢাকা থেকে এসে আমার স্ত্রীর কাছে শুনে বিকালে তালতলী থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা না নিয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দেয়।
তালতলী থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, এ ব্যাপারে আদালতের আদেশ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২ এপ্রিল