বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায়
হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় ও প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে লণ্ডভণ্ড অবস্থা হয়েছে। রাজধানী ছাড়াও দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় গতকাল সকাল, দুপুর ও বিকালের দিকে কালবৈশাখী আঘাত হানে। এ সময় বজ্রপাত এবং শিলার আঘাত, বিদ্যুতের তার ছিড়ে ও টিনের চাল পড়ে রংপুর, দিনাজপুর, মাগুরা, পাবনা, যশোর, ভৈরব ও সিলেটে আটজন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন।
সাধারণত মার্চ থেকে মে এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয়ে থাকে। বজ্রপাতের সময় বাসা-বাড়ির মধ্যে থাকলে এর প্রভাব থেকে কিছুটা বাঁচা যায়। তবে রাস্তায় কিংবা খোলা মাঠে থাকাকালীন এমন পরিস্থিতি সামনে পড়লে কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন তার কয়েকটি উপায় জেনে নিন।
১. বজ্রপাতের সময় উঁচু গাছপালার কাছাকাছি থাকবেন না। কারণ ফাঁকা জায়গায় কোনো যাত্রী ছাউনি বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই গাছ থেকে কমপক্ষে ৪ মিটার দূরত্বে অবস্থান করতে হবে।
২. ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা, উঁচু জায়গায় কিংবা টিনশেডের বাড়িতে না থাকাই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় যদি কোনো পাকা বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া যায়।
৩. বজ্রপাতের সময় রাস্তায় গাড়িতে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব গাড়ি থেকে বেরিয়ে পাকা কোনো বাড়ির ছাউনি কিংবা বারান্দায় অবস্থায় নেওয়া।
৪. বজ্রপাতের সময় মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজসহ সকল বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সুইচ বন্ধ রাখা। বজ্রপাতের আভাস পেলে আগেই এগুলোর প্লাগ খুলে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করুন।
৫. বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করবেন না। বজ্রপাতের সময় এগুলোর সংস্পর্শ এসে অনেকে আহত হন।
৬. নদীতে নৌকায় অবস্থান করলেও পানি থেকে সরে আসতে হবে এবং নৌকার ছাউনিতে ঢুকে পড়তে হবে।
৭ বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই বৈদ্যুতিক খুঁটি বা তার আছে এসব জায়গায় যাবেন না বা কাছাকাছি থাকবেন না।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১ এপ্রিল