সংখ্যালগু পরিবারের ওপর হামলাপাথরঘাটায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ
পাথরঘাটা পৌরশভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম লিটন ও তার ভাইসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে¡ সংখ্যালগু পরিবারের ওপর হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ হামলায় দুই নারীসহ ৩ জন আহত হয়। আহতদের পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনার সাথে জরিত ওই কাউন্সিলরসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১০টার সময় পাথরঘাটা বাজারের পালপট্টিতে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো, গৌতম পাইক (৪৫) তার স্ত্রী অর্চনা পাইক ও গৌতমের বোন রিনা পাইক।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গৌতম পাইক একজন ইট, বালু, সিমেন্ট ব্যাবসায়ী এবং লিটন কাউন্সিলরের ভগ্নিপতি মোঃ সাগর ফ্রেস সিমেন্ট কম্পানীর এজেন্ট। দীর্ঘ দিন ধরে সিমেন্ট কেনাবেচার সুবাদে তাদের দু’জনের মধ্যে ব্যাবসায়ীক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাঝে মধ্যে টাকার তাগাদা দিতে এসে গৌতমের দোকানে আড্ডা দেয় সাগর। এতে সাগরের স্ত্রী তার স্বামী ও গৌতমের স্ত্রীর সাথে পরোকিয়ার সন্দেহ করে বিষয়টি কাউন্সিলর লিটনের কাছে জানায়। পরে বিষয়টি শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কাউন্সিলর লিটন তার স্ত্রী বুলবুল ও ছোট ভাই রাজন খান এসে গৌতমকে ঘর থেকে ডেকে এনে বাজারের সদর রোডে লোকজনের সামনে মারধর করতে থাকে। এসময় গৌতমের স্ত্রী ও বোন ঘর থেকে বের হয়ে গৌতমকে বাচাতে এলে তাদেরকেও চুল ধরে রাস্তাায় টানা হেচড়া করে মারধর করা হয়। পরে বাজারের ব্যাবসায়ীরা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে।
গৌতম পাথরঘাটা নিউজকে জানান, সাগরের সাথে তার স্ত্রীর কোন সম্পর্ক নেই। কাউন্সিলর লিটন একজন প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার। সে আমার কাছ থেকে বাকিতে মালামাল নেয়ায় তার কাছে আমি সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা পাই। ২০০৭ সাল থেকে টাকা না দেয়ায় বিষয়টি বিভিন্ন জায়গায় নালিশ জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে মারধর করেছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে কাউন্সিলর লিটন পাথরঘাটা নিউজকে জানান, গৌতমের স্ত্রী আমার বোনের সংসার ধ্বংস করতে চলেছে। এ জন্য আমি তাকে গালমন্দ করেছি। গৌতমের সাথে আমার কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনী।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মোঃ খবীর আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাথরঘাটা নিউজকে জানান, এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। যাহার নম্বর ৩৬। ঘটনার পর আসামীরা সব পলাতক রয়েছে। তাদেরকে আটকের জন্য আমরা অভিযান চালাচ্ছি।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৩০ মার্চ