ভোলার চরফ্যাশনে আ.লীগ নেতাকে শ্বাসরোধে হত্যা!

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৯:৩৪ এএম, ২৯ মার্চ ২০১৮

ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভা এতিমখানার নির্মাণাধীন ভবনে আ.লীগ নেতা জব্বার মাষ্টারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে ছেলে বাদী হয়ে চরফ্যাশন থানায় অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দয়ের করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ মার্চ) সকালে পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের এতিমখানার একটি শূন্য কক্ষে তার লাশ পাওয়া যায়। ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিল তরিকুল ইসলাম মিলন বলেন, বিচারে ন্যায়সংগত কথা বলতেন। মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদ করতেন। এসবে তার মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

পুলিশ জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার বাসা থেকে মাগরিবের নামায আদায় করতে বের হয়। নুরু সিকদার বাড়ীর দরজায়র জামে মসজিদে মাগরিব এবং এশার নামায তিনি আদায় করতে মুসল্লিরা দেখেছেন। এমনকি এশারের নামায আদায় করে এতিমখানা চৌমহনী চা খেয়েছেন। রাত গভীর হলে তারই ছেলে মাসুম বিল্লাহ পিতা জব্বার মাষ্টারের মোবাইল ফোনে কল দেন। কল রিসিভ হচ্ছে না। রাত জেগে কল আর স্বজনদের কাছে খোঁজ-খবর নেয়।
এতিমখানা সড়ক দিয়ে দক্ষিণে আসা পথে এতিম খানার বাবুর্চি সানাউল্লাহ ফজরের নামায শেষে পানির মটোর সুইস দিতে গিয়ে দেখেন নির্মানাধীন এতিমখানার একটি কক্ষে কাঠের সাথে সাদা পাঞ্জাবী পরিহিত বৃদ্ধ লোক ঝুলছে। তার কাছে মোবাইলের রিং বাজছে। তার ডাক চিৎকারে প্রথমে তারই বড় ছেলে মাসুম বিল্লাহ দৌড়িয়ে এসে তার পিতাকে দেখে জড়িয়ে কান্না ভেঙ্গে পড়ে।

ছেলে মাসুম বিল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, আমার পিতা মাদকসেবী ও বিক্রেতার বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলেন। তারাই আমার পিতাকে হত্যা করতে পারে। আমি সঠিক বিচার দাবী করছি। ভোলা ময়না তদন্ত শেষে রাত সাড়ে ৮টায় এতিম খানার মাঠে জানাযার নামাত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

চরফ্যাশন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, এতিমখানার চলমান নির্মাণাধীন ভবনের কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থা দেখে স্থানীয় লোকজন রাস্তায় এসে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে লাশ ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

চরফ্যাশন সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৯ মার্চ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)