মঠবাড়িয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দশ দোকান ও বসত ঘর ভস্মীভূত : কোটি টাকার ক্ষতি
নোমান আল সাকিব: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের কাপুড়িয়া পট্টিতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও একটি বসত ঘর পুড়ে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
আজ বুধবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।একটি মোমবাতি কারখানা (খোলা বাতি) থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
দমকল বাহিনী ও ক্ষতিগ্রস্থ সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঝন্টু মালের মোমবাতির কারখানা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মূহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রবীন ব্যবসায়ী মরহুম মতিয়ার রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেনের মালিকানাধীন ভাড়াটিয়া দোকান গুলোর নগদ অর্থ, টিভি, ফ্রীজ, ফ্যান, ডেকরেটর সামগ্রী ও ট্রেইলার্সে কারখানাসহ গুদাম ঘর আগুনে পুরে ছাই হয়ে যায়।
আগুনে সর্বস্ব হাড়ানো ট্রেইলার্সের মালিক কামরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আগুন লাগার সাথে সাথে মঠবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলেও আধা কিলোমিটার দুরত্বের অফিস থেকে আসতে দমকাল বাহিনীর প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগে।
প্রবীন ব্যবসায়ী মরহুম মতিয়ার রহমানের নাতি জাকারিয়া পিন্টু অভিযোগ করেন, বিলম্বে হেলমেট ছাড়া দমকল বাহিনী আসলেও পাম্পে পানি নাই অজুহাতে আগুন নিভানোর কাজে কালক্ষেপন করে।
ফায়ার সার্ভিস মঠবাড়িয়ার স্টেশন অফিসার মো. সুমন ফায়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে গাফলতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই সময় তুষখালীতে মহরায় থাকায় ঘটনাস্থলে পৌছাতে বিলম্ব হয়। তিনি আরও জানান, অপ্রশস্ত রাস্তা, পুরানো গাড়ি এবং শহরে পানির ব্যবস্থা না থাকায় আগুন নেভাতে দেরী হয়।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. মতিয়ার রহমান জানান, স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হেব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি.এম. সরফরাজ জানান, ফায়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে গাফলতির মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এন এ এস/পাথরঘাটা নিউজ