খালেদার জামিন আবেদনে যেসব শারীরিক জটিলতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৫:০৯ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ | আপডেট: ০৫:১২ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

—জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনে বেশ কিছু শারীরিক জটিলতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের আইনজীবীরা।

জামিন আবেদনে বলা হয়, ৭৩ বছর বয়সী খালেদা জিয়া নানা শারীরিক জাটিলতায় ভুগছেন। তিনি ২০ বছর ধরে ডায়াবেটিস, ৩০ বছর ধরে গেঁটে বাত, ১০ বছর ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও আয়রন স্বল্পতায় ভুগছেন। ১৯৯৭ সালে তার বাম হাঁটু এবং ২০০২ সালে ডান হাঁটু প্রতিস্থাপনের কারণে তার গিটে ব্যথা হয়, যা প্রচণ্ড যন্ত্রণাদায়ক। এমনকি হাঁটাহাঁটি না করতেও চিকিৎসকের পরামর্শ রয়েছে। এসব শারীরিক জাটিলতার কারণ বিবেচনায় তার জামিন মঞ্জুরের সবিনয় আর্জি জানাচ্ছি।

এছাড়া নারী, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র চেয়ারপার্সন উল্লেখ করেও জামিনের আর্জি জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। খালেদা জিয়ার পাশাপাশি তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ মামলার অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়ে আসামিদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা জরিমানাও করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পরপরই কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগার ভবনে। সেই দিন থেকে এখনো কারাগারেই রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

রায় ঘোষণার ১১দিন পর গত সোমবার বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রায়ের সার্টিফাইড কপি বা অনুলিপি হাতে পান। পরদিন মঙ্গলবার বিকেল সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার জিয়ার আইনজীবী দলের সদস্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আপিল (ক্রিমিনাল আপিল নং- ১৬৭৩/১৮) দায়ের করেন।(সূত্রঃ বিডি-প্রতিদিন)

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)