নুরানী শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উন্নত ও গঠনমূলক হাতের লেখার প্রশিক্ষণ
বরগুনার পাথরঘাটায় হযরত সুমাইয়া (রাঃ) নূরানী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের হস্তলিপি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘ তিন বছরের শিক্ষা যাত্রায় মাদ্রাসাটির বাৎসরিক হস্তলিপি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়ন যাচাই করার জন্য এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ই নভেম্বর) সকাল ৯টায় পাথরঘাটা ৭নং ওয়ার্ড শহীদ জিয়ামাঠ সংলগ্নে অবস্থিত হযরত সুমাইয়া (রাঃ) নূরানী মাদ্রাসার প্লে, নার্সারি, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের, প্রতি বছরের ন্যায় হাতের লেখার মান উন্নয়ন যাচাই প্রক্রিয়ায়, একটি বাৎসরিক হস্তলিপি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করা হয়। প্রতিদিনের মতো সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা সুশৃংখলভাবে মাদ্রাসাটিতে অবস্থান করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠানটির সকল শিক্ষকবৃন্দসহ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক বৃন্দরা।
তারা জানান, উন্নত শিক্ষার জন্য নূরানী শিক্ষার বিকল্প নেই। তাই সন্তানদের কুরআনের আলোকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা নূরানী মাদ্রাসায় ভর্তি করেছি। আমাদের এলাকার প্রায় সন্তানরা এই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে, মাদ্রাসাটির শিক্ষার মান অনেক উন্নত। এখনে আরবী থেকে শুরু করে বাংলা, ইংরেজি, অংক ও ইসলামিক সাহিত্য খুব গুরুত্ব সহকারে পড়ানো হয়। আজকের আমাদের সন্তানদের হাতের লেখা পরীক্ষা চলছে। আমরা খুবই আনন্দিত কারন আমাদের সন্তানদের হাতের লেখা শিক্ষকরা প্রথম থেকেই খুব সুন্দর ভাবে গঠন করে তুলেছেন।
মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা আবুল কালাম আজাদ জানান, দীর্ঘ তিন বছর ধরে মাদ্রাসাটি সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। নূরানী মাদ্রাসা ইসলামের আদর্শে পরিচালিত একটি মাদ্রাসা। নূরানী মাদ্রাসায় প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আরবি, বাংলা, ইংরেজি, অংক ও ইসলামিক সাহিত্য উন্নত শিক্ষার জন্য একই ভাবে গুরুত্ব দিয়ে পড়ানো হয়। আমরা প্রতিটি শিক্ষক উন্নত শিক্ষার মান নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষার্থীকে প্রতিটি বিষয়ের উপরে আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। তার ভিতরে অন্যতম হলো হস্তলিপি প্রশিক্ষণ, যেটি মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতের লেখাকে সুন্দরভাবে গঠন করা হয়। বছরের প্রথম থেকেই প্রশিক্ষণ শুরু হয়, বছরের শেষে এসে একটা সময় পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লেখার মান উন্নয়ন যাচাই করা হয়। যাচাই প্রক্রিয়া শেষ করে উত্তীর্ণ ব্যক্তিদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করে থাকি।