পাথরঘাটায় বেয়াইনকে মারধরের মামলায় ইউপি সদস্যের ৩ বছরের কারাদন্ড
বরগুনার পাথরঘাটায় ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে গিয়ে হামলা করে জামাইয়ের মাথা থেতলে দিয়ে লুটপাট করে জামাইয়ের কাছ থেকে নিজের মেয়ের তালাক নেয়ার অভিযোগে শ্বশুর মহিউদ্দিন পান্নাকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার বিকেলে বরগুনা জেলা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মাহবুব আলম এ কারাদণ্ডের আদেশ দেন। আদেশের সময় আসামি মহিউদ্দিন পান্না আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন, উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মানিকখালী গ্রামের মরহুম রশিদ মৃধার ছেলে এবং একই ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মহিউদ্দিন পান্না (৫০)।
জানা গেছে, নাচনাপাড়া ইউনিয়নের মানিকখালী গ্রামের খালেক খলিফার ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমানের মা রেনু বেগম ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল মহিউদ্দিন পান্নাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায় মামলা করেন। ওই সময় বিষয়টি নিয়ে দৈনিক নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশ হয়।
মামলার বাদি রেনু বেগম অভিযোগ করেন, ‘তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন পান্নার মেয়ে লায়লা আক্তার পপিকে বিয়ে করে। পরে পারিবারিক বিরোধের কারণে নোমান তার স্ত্রী পপিকে তালাক দেন। তালাক দেয়ার পরে আসামি মহিউদ্দিন পান্না ক্ষিপ্ত হয়ে জোর করে তার মেয়ে পপিকে নোমানের বাড়িতে থাকতে বাধ্য করেন। নোমান পপিকে তার ঘর থেকে বাবার বাড়ি যেতে বলায় ২০১৯ সালের ৭ জুন সকাল অনুমান সোয়া ৬টায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পান্নাসহ আট থেকে ১০ জন ভাড়াটে সন্ত্রসীকে নিয়ে নোমানের বাড়িতে ঢুকে ঘরের মালামাল লুট করে নেয়। নোমান বাধা দিলে তার মাথায় পান্না এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। এ সময় নোমানের মা এবং বাবাকেও মারধর করেন।
পান্নার জামাই নোমান বলেন, ‘আমার স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তালাক দেই। আমার সাবেক শ্বশুর মহিউদ্দিন পান্না দলবল নিয়ে আমাদের বসত ঘরে ঢুকে আমার মাকে আমাকে পিটিয়ে জখম করে। ঘরের সব মালামাল লুট করে নিয়ে যায় তার সন্ত্রাসী বাহিনী। বর্তমানে আমার বাড়ি পান্নার দখলে। তার ভয়ে আমি বাড়ি যেতে পারি না।’
আদালত প্রাঙ্গনে আসামি মহিউদ্দিন পান্না বলেন, ‘এ রায়ের বিরুদ্ধে আমি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করবো।’