পাথরঘাটায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে ২০ ঘর বিধ্বস্ত, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছ পড়ে প্রায় ২০ টি পরিবাররের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে ঘরবাড়ি ভেঙে অনেক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। গাছ উপড়ে পড়ায় উপজেলায় প্রায় ২৪ ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এছাড়া উপজেলার প্রায় সকল এলাকায়ই ধান ক্ষেত এবং সব্জির ব্যাপকক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরন কেন্দ্র থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করতে গিয়ে ১ ট্রাডুবির ঘটনা ঘটে এবং ২০ ট্রলারসহ প্রায় ৩ শতাদিক জেলে নিখোঁজ রয়েছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন ওই সকল জেলে পরিবার।
ঘূর্ণিঝড়ের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা পাথরঘাটা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোকছেদুল আলম জানান, পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক গাছ উপড়ে পরেছে। এছাড়াও প্রায় ২০ টির মতো ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের সরকারের পক্ষ থেকে সহয়তা করা হবে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবি ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারনে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় পাথরঘাটার আব্দুস ছালাম এর মালিকানাধীন এফবি নিশাত নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এসময় পার্শ্ববর্তী অন্যান্য ট্রলারের জেলেরা তাদের ভাসতে দেখে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। তাছারা এ উপজেলার প্রায় ২০টি মাছ ধরা ট্রলাসহ প্রায় ৩শতাধিক জেলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ঘূর্নিঝড় মিধিলি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের সকল রকমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পাথরঘাটায় ১২৪ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত ছিল। বেরিবাঁধের বাহিরের লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আবহাওয়া ঠিক হয়ে গেলে সবাই বাড়িতে ফিরে যাবে।