এমন দিনে বড় দুঃসংবাদ পেলেন শাকিব-অপু
অনলাইন ডেস্কঃ চলতি মাসের ১২ তারিখেই বিচ্ছেদ কার্যকর হয়েছে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের। বিচ্ছেদের বলি হয়েছে এ জুটির সিনেমাগুলোও। দুজনে একসঙ্গে অসংখ্য ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন। পর্দার রসায়নের পর বাস্তব জীবনেও জুটি বাঁধেন তারা।
২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ে করেন দুজনে। বিয়ের খবর ৯ বছর গোপন থাকার পর গত বছরের ১০ এপ্রিল একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সব ফাঁস করে দেন অপু। বিয়ের খবর প্রকাশের আট মাসের মাথায় অপুকে ডিভোর্স দিয়ে দেন শাকিব। দুজনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যেই বেশ কয়েকটি ছবির কাজ আটকে যায়। এর এতে চিন্তায় পড়েছেন ছবিগুলোর প্রযোজক ও পরিচালকরা। কোটি টাকা লোকসানের মুখে হতাশার মধ্যে পড়ে গেছেন তারা। মাঝে শোনা যায় আটকে থাকা ছবিগুলোর কাজ করে দিতে রাজি আছেন শাকিব-অপু।
তবে এজন্য নাকি আরো অপেক্ষা করতে হবে প্রযোজকদের। যেটি মানতে পারছেন না আটকে থাকা ছবি মাই ডার্লি-এর প্রযোজক মনিরুজ্জামান। এজন্যই শাকিব-অপুর বিরুদ্ধে অভিযোগের চিঠি পাঠিয়েছেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট তিনটি সমিতির কাছে। ২০ মার্চ আলাদা আলাদাভাবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতি ও শিল্পী সমিতি বরাবর শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে চিঠি পাঠান মনিরুজ্জামান। চিঠি দেওয়ার দিন থেকে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক ও শিল্পীদের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করেন।
মনিরুজ্জামানের অভিযোগ, বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস তার ছবি মাই ডার্লিং-এর কাজ সম্পন্ন করে দিচ্ছেন না। শাকিব-অপু ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে আগেও শুটিং বিলম্বিত করেছেন। একটা সময় শুটিং শেষ করে দেওয়ার কথা বলে চুক্তির বাইরেও শাকিব খানের দাবি করা আরও ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। তারপরও তারা দুজন শিডিউল দেওয়ার অঙ্গীকার রাখেননি।’
শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বললেন, ‘আমরা প্রযোজকের অভিযোগপত্র পেয়েছি। এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। শিগগিরই সমিতির কার্যকরী পরিষদের মিটিংয়ে তোলা হবে বিষয়টি।’
যদি তিন সমিতি থেকে কোনো সুরাহার ব্যবস্থা না হয়, তাহলে কী পদক্ষেপ নেবেন? এ প্রশ্নের জবাবে মনিরুজ্জমান বলেন, ‘যদি তিন সমিতির নেতারা এর একটা সুরাহা করে দেন তাহলে তো ভালোই। তা না হলে আরো কঠিন পদক্ষেপ নেব। প্রথমে আদালতে যাব। সেখানেও কোনো উত্তর না পেলে মামলা করব।
এ এম বি / পাথরঘাটা নিউজ