পাথরঘাটায় ‘আন্তর্জাতিক উপকূল পরিচ্ছন্নতা’ দিবস পালিত
উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটার বিভিন্ন সড়কে ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করে ‘আন্তজার্তিক উপকূল পরিচ্ছন্নতা দিবস’ পালন করা হয়েছে।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়। পরে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘাটে নোঙর করা মাছ ধরা ট্রলারের জেলেদের মাঝে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় প্লাষ্টিকবর্জ্য না ফেলাসহ গভীর সমুদ্র নদ-নদী কোন রকম পরিবেশ দূষণ করা থেকে বিরত থাকতে দুই ঘন্টাব্যাপি সচেতনতামূলক আলোচনা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের ক্ষেত্র সহকারি মো. নজরুল ইসলাম, পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, স্বেচ্ছাসেবক এইচ.এম. সবুজ, মো. আলিফ, মো. রিপন, মো. মুসা, মো. সোহাগ, মো. মাহমুদ প্রমুখ।
নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা সব সময়ই সাগর ও নদীতে যাওয়া জেলেদের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতন করে থাকি। যাতে করে তারা অন্তত সাগরের পরিবেশ দূষণ না করে।
শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্যে বিপন্ন হচ্ছে সমুদ্রের জীববৈচিত্র। জীবনযাত্রা আধুনিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সমুদ্রে বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ৷ প্লাস্টিকের পণ্য ব্যবহারের পর তার বিশাল একটা অংশ চলে যাচ্ছে সমুদ্রে, যা বিপন্ন করছে সেখানকার জীববৈচিত্রকে৷প্রতিনিয়তই দূষণের শিকার হচ্ছে আমাদের সমুদ্র উপকূল।
তিনি আরও বলেন, সমুদ্রে পর্যটনসহ জেলেদের সচেতনতার বিকল্প নেই। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় জেলেদের সাগরে যাতায়াত বেশি সে কারনে জেলেদের সচেতন হওয়া বেশি দরকার। তাদের ব্যবহার্য প্লাস্টিকের বোতল, খাবার ও পণ্যের মোড়ক ইত্যাদি সমুদ্রে ফেলে রেখে আসছে। দিন যত যাচ্ছে ততই যেন সমুদ্রের পানি দুষিত থেকে আরও দুষিত হচ্ছে। আমরা বহুদিন থেকেই এ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি।