পাথরঘাটায় সন্তানের শোক সইতে না পেরে প্রান গেল মায়ের!
বরগুনার পাথরঘাটায় ৩ মাস বয়সী রাফিয়া নামের কন্যা সন্তানের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে মা তন্নী বেগম (২২) এর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার সময় মা ও সন্তানের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৮ টার দিকে রাফিয়র এবং পরের দিন সকাল ৭ টার দিকে মা তন্নী বেগমের মৃত্যু হয়।
এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর কুপধন এলাকায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন।
মৃত তন্নী বেগম একই এলাকার করম পহলানের ছেলে মো. রিয়াজ এর স্ত্রী। তাদের সংসারে রাফিয়া প্রথম সন্তান।
রাফিয়ার বাবা মো. রিয়জ পহলান জানান, গত ৪ জুলাই রাফিয়ার শরীরে জ¦র দেখে স্থানীয় ফার্মেসীতে নিয়ে গেলে সেখান থেকে শিশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় রাফিয়ার বাবা রিয়াজকে। সেখান থেকে বরগুনার শিশু বিশেজ্ঞ চিকিৎসক সোহরাব হোসেনের কাছে নিয়ে যান তারা। সেখার থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি আসলে রাফিয়া কিছুটা শুস্থ্য হন। পরে আবারো তার জ¦র বেড়ে যায়। এর পরে গতকাল ৫ জুলাই সন্ধার দিকে বেশী অসুস্থ হয়ে পরলে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পথে রাফিয়ার মৃত্যু হয়। পরে লাশ বাড়িতে নিয়ে পরের দিন সকালে দাফনের জন্য রাখা হয়। সকালে মা তন্নী বেগম তার শ^শুর করম পহলানকে তার জন্য ২ রাকাত নামাজ পরে দেয়া করার কথা বলে সন্তানের লাশের সামনে গিয়ে লুটিয়ে মাটিতে পরে যান। তার অবস্থা খারাপ দেখে চিকিৎসককে ডাকতে বলার কিছুক্ষন পরেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, আমার কলিজার ঠুকরাটি চলে যাওয়ার পরে তা মাকে নিয়ে থাকবো তাও আল্লাহ নিয়ে গেল। আমার সাথে এমন কেন হলো। আম এখন কি নিয়ে বাচবো!
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা জানান, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক একটা বিষয়, শুনে খুবই খারাপ লেগেছে। সন্তান চলে গেলে স্ত্রীকে ধরে বেচে থাকার চেস্টা করা হয়। আল্লাহ রিয়াজের দুজনকেই নিয়ে গেছে। আমি গতকাল থেকেই তাদের পরিবারের খোঁজ খবর রাখছি।