বরগুনা কৃষি প্রযুক্তি ইনিস্টিটিউটে নিয়মকানুন উপেক্ষা করে পরীক্ষা নিচ্ছেন কর্মচারীরা, অবাধে চলছে নকল সরবরাহ

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বরগুনা কৃষি প্রযুক্তি ইনিস্টিটিউটে শিক্ষকদের পরিবর্তে নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরীক্ষার হলে পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন কলেজের কর্মচারীরা। তাদের সহায়তায় পরীক্ষার্থীরা অবাধে করেন নকল। রেজিষ্ট্রেশন কার্ড ছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ হলেও এই আইনের কোন তোয়াক্কা নেই। তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নকল করার সময় হল পরিদর্শকের সামনেই বরগুনা কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীর খাতার নিচ থেকে বের করা হচ্ছে বইয়ের পৃষ্ঠা। বিষয়টি দেখে পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে হল থেকে বের করে দেন পরিদর্শক এনামুল হক।
পরে জানা যায়, হলে কর্তব্যরত ওই পরিদর্শক ওই ইনস্টিটিউটের হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এ দিন কৃষি ডিপ্লোমার ৪ বছর মেয়াদি কোর্সের সপ্তম সেমিষ্টারের পরিবেশ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযোগ রয়েছে, বরগুনা কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে কৃষি ডিপ্লোমা পরীক্ষায় শিক্ষকদের পরিবর্তে হলে পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন কলেজের কর্মচারীরা। তাদের সহায়তায় নকল করে পরীক্ষা দিচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। এছাড়াও রেজিস্ট্রেশন কার্ড ছাড়াই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন পরীক্ষার্থীরা। যার ফলে একজনের পরীক্ষা আরেকজনে দিলেও তা শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৯ জনের মধ্যে ৮ জনই রেজিস্ট্রেশন কার্ড ছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। কেন রেজিস্ট্রেশন কার্ড ছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে পরীক্ষার্থীরা বলছেন, বৃষ্টিতে ভিজে গেছে, হারিয়ে ফেলেছি, খুঁজে পাচ্ছি না ইত্যাদি ইত্যাদি।
পরীক্ষা হল পরিদর্শক ইনস্টিটিউটের হিসাবরক্ষক এনামুল হক জানান, এটা নিয়মবহির্ভূত নয়। আমি হল পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেই পারি।
বরগুনা কৃষি প্রযুক্তি ইনিস্টিটিউটের সহকারী গ্রন্থাগারিক শিমুলী আক্তার জানান, পরীক্ষার্থীরা বৃষ্টি, তাছাড়া হারিয়ে ফেলেছে বা খুঁজে পাওয়া যায়নি এই কারণে রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে পরীক্ষা হলে আসতে পারেনি।
বরগুনা কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।