বাঁচতে চায় দুই সন্তানের জন্য তামিম
নিজস্ব প্রতিবেদক তালতলী
ড্রেন নির্মাণের কাজ করার সময় বিদ্যুৎ এর ঝুঁলে থাকা তারে হাত লেগে বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে দগ্ধ হন তিনি। এখন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে তার চিকিৎসা নেয়ার কথা থাকলেও অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় নিজের ঘরেই ৬ মাস ধরে কাতরাচ্ছেন।
এটি বরগুনার তালতলী উপজেলার এক যুবক বিদ্যুৎপিষ্টে দগ্ধ হয়ে ধুকে ধুকে দিন পার করার গল্প।
তিনি উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের কাজির খাল গ্রামের মো. কুদ্দুস হাওলাদার এর ছেলে তামিম (২৬)। তার দুটি শিশু সন্তান রয়েছে।
আহত তামিম বলেন, গত বছর ১০ ফেব্রুয়ারি ড্রেন নির্মাণের কাজ করার সময় বিদ্যুৎ এর ঝুঁলে থাকা তারে হাত লেগে বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে দগ্ধ হন। এতে পিঠ ও বুকের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে। ঝলসে যাওয়া শরীর নিয়ে ১ বছর কোনো মতে পার করলেও সুস্থ হননি এখনও।
তিনি আকুতি জানিয়ে আরোও বলেন, ‘আমি বাঁচতে চাই। আমি মারা গেলে আমার সন্তানদের কে দেখবে?’
তামিমের বাবা কুদ্দুস হাওলাদার জানান, বিভিন্ন জায়গায় ছেলের চিকিৎসা করে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। গত (০২ অক্টোবর ) ঢাকা মেডিকেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি ছেলেকে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক পিজুস কান্তি জানিয়েছেন, জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করতে হবে। তা না হলে তাকে বাঁচানো যাবে না। অস্ত্রোপচার করতে প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হবে। চিকিৎসার অভাবে তামিমের শারীরিক সমস্যা দিন দিন জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। বর্তমানে সে বাসায় অবস্থান করছে।
তিনি আরও জানান, তিনি দরিদ্র মানুষ, দিনমজুরি করে অনেক কষ্টে সংসার চালান। তার একার পক্ষে এই চিকিৎসার টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই তিনি সমাজের বিত্তবান, হৃদয়বান ও দানশীল ব্যক্তির সাহায্য কামনা করেছেন।
চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগিতা পাঠাতে যোগাযোগ করতে পারেন -01949050729 (বিকাশ) নম্বরে।