আমতলীতে বাঁধের উপর ৬১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নোটিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক আমতলী,
বরগুনার আমতলী উপজেলার গাজীপুর বন্দরের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের জমি প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দখল করে ভবন নিমার্ণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা ওই ঘর অধিক মুল্যে বিক্রি করে দিয়েছেন। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই বন্দরের ৬১ ঘর উচ্ছেদ করতে নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশ প্রাপ্তির ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অবৈধ ভবন ও ঘর সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার গাজীপুর বন্দর একটি ঐহিত্যবাহী বাজার। এ বন্দরটি অর্ধশত বছর পুর্বে স্থাপিত হয়। ওই বন্দরের তিন পাশে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ রয়েছে। বাঁধের জমি অবৈধভাবে স্থানীয় প্রভাবশালী মোঃ শাহ আলম মোল্লা, আব্দুল সালাম সোহেল মোল্লা, বিমল, ফোরকান, কবির মুসুল্লী, নুর আলম হাওলাদার, নুর আলম মৃধা, মহসীন, মাওলানা আবু বকর ও বারেক মৃধা অবৈধভাবে দখল করে ভবন নিমার্ণ করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম সোহেল মোল্লা ও তার বড় ভাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মোঃ শাহ আলম মোল্লা প্রভাবখাটিয়ে জমি দখল করে ১৩ টি ঘর নিমার্ণ করেছেন। ওই ঘর তারা তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ওই বন্দরের ৬১ অবৈধ ঘরের তালিকা তৈরি করেছেন। এ অবৈধ ঘর উচ্ছেদ করতে নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অবৈধ ভবন সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালীরা ওই উচ্ছেদ নোটিশ আমলে নিচ্ছে না। নোটির প্রাপ্তির চার দিন পেরিয়ে গেলেও প্রভাবশালীরা অবৈধ ঘর সরিয়ে নিচ্ছে না। দ্রুত অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, গাজীপুর বন্দরের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের উপরে সারি সারি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, আওয়ামীলীগের প্রভাবখাটিয়ে শাহ আলম মোল্লা ও তার ভাই আব্দুস সালাম সোহেল মোল্লা জমি দখল করে ঘর নিমার্ণ করে মোটা অংকের টাকার বিক্রি করে দিচ্ছে। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ উপদেষ্টা মোঃ শাহ আলম মোল্লা জমি দখল করে ঘর তুলে বিক্রি করার কথা অস্বীকার করে বলেন, উচ্ছেদ নোটিশ পেয়েছি। এ নোটিশ স্বাভাবিকভাবেই দিয়ে থাকেন।
এবিষয় বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সৌরভ বলেন, অবৈধ ৬১ ঘর উচ্ছেদ করতে নোটিশ দেয়া হয়েছে। ওই ঘর যারা তুলেছেন তারা নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে ঘর ভেঙ্গে না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।