বলেশ্বর নদে ১০ জেলেকে পিটিয়ে আহত, মাছসহ মালামাল লুট

সুন্দরবন এলাকা থেকে মাছর পোনা শিকার করে খুলনা অঞ্চলে ফেরার পথে বরগুনার পাথরঘাটা সংলগ্ন বলেশ্বর নদে একটি নামবিহীন ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার সন্ধা ৭টার দিকে ফিরে আসা ওই ট্রলারের মাঝি আমিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত (৩ মার্চ) ৮ টার দিকে তাদের উপর এ হামলা করা হয়। পরে তাদেরকে গভীর সমুদ্রে নিয়ে ট্রলারে থাকা মাছ, তেল, ৩টি মোবাইল ও অনান্য রসদ সামগ্রী নিয়ে দ্বিতীয় দফায় মারধর করে ছেরে দেন।
ট্রলার মালিকের নাম রবিউল ইসলাম, ট্রলার মালিক ও জেলেদের বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি এলাকায়। আহতরা হলেন, আমিনুল ইসলাম মাঝি (৩৫), মহিদুল ইসলাম (৪৫), হাবিবুর রহমান (৩২), মুসা গাজী (৩৮), মো. বাচ্চু মিয়া (৩০), মো. তুহিন শেখ (৩০), মো. হাবিব (৪৫), মোহাম্মদ আলী (৩৮), মো.ফরহাদ (২২) ও মিজানুর রহমান (৪০)। তাদের মধ্যে তুহিন, ফরহাদ,হাবিব ও বাচ্চুকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ট্রলারসহ খুলনায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ফিরে আসা ট্রলারের মাঝি আমিনুল ইসলাম জানান, সাগরে মাছ শিকার করে বিক্রি করার জন্য ঘাটে ফিরছিলেন তারা। সাগর থেকে বলেশ্বর নদ হয়ে ঘাটে যাওয়ার পথে পাথরঘাটার রুহিতা সংলগ্ন বলেশ্বর নদ এলাকায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সার্চ লাইট দিয়ে সংকেত দেয়। কিছুণ পরই তিনটি ট্রলারে অন্তত ১২ জন লোক তাদের ট্রলার দড়ি দিয়ে বেধে ফেলে। এ সময় ট্রলারটি সুন্দরবনের দিকে চালায় এবং ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে জেলেরা তাদের চাহিত মুক্তিপণের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ১০জন জেলেকে পিটিয়ে আহত করে। পরে ট্রলারে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা, মাছ, ১২০ লিটার ডিজেল, তিনটি মোবাইল ফোনসহ রসদ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রলারে থাকা খাবার দাবার এবং কাপড়-চোপড় নদীতে ফেলে দিয়ে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয় বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, এরকমের একটি ঘটনা শুনেছি। আমার কাছে ডাকাতি হওয়া ট্রলারের জেলেরা এসেছিলো,আমি আইনী সহযোগিতা করার জন্য থানায় যেতে বলেছি।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের পাথরঘাটা ষ্টেশন কমান্ডার লে. শাফায়েত আবরার বলেন, ডাকাতির খবর আমরা পাইনি। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।