পাথরঘাটার ১১ জেলে সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে আটক, পরে ভারতের কারাগারে
মাছ শিকার করতে গিয়ে সমুদ্রসীমা অতিক্রম করায় বরগুনার পাথরঘাটার এফবি ফাতেমা নামে একটি ট্রলারসহ ১১ বাংলাদেশী জেলেকে আটক করেছে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বঙ্গোপসাগরের গভীরে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে অনিচ্ছায় জেলেরা দেশটির জলসীমায় ঢুকে পড়লে তাদের আটক করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ভারতের একটি আদালত আইনি প্রক্রিয়া শেষে আটক ওই জেলেদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
আটক জেলেরা হলেন- মো: আলী হোসেন, মো: সামছুল হক, আ: জলিল মিয়া, মো: নবী হোসেন লিচ, মো: খলিল মীর, ফারুক মীর, মো: মুছা, মো: রুবেল, মো: রুস্তুম, মো: হারুন, হাফিজুর রহমান। ওই ট্রলারটি মালিক ও জেলেদের সবার বাড়িই বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার চরদুয়ানী ইউনিয়নের সামছুল হকের নেতৃত্বে ১১ জেলে তার মালিকানা এফবি ফাতেমা ট্রলারসহ সাগরে মাছ ধরতে যায়। দু’দিন পর গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়লে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশী জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ে তারা। পরে সোমবার ভারতের চব্বিশ পরগনা এলাকার ছোট মোল্লাখালী কোস্টাল এলাকা থেকে ওই দেশের জেলেরা ট্রলারসহ ১১ জেলেকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এদিকে জেলেদের বাড়িতে এমন খবর পৌঁছানোর পর স্বজনদের আহাজারি চলছে।
বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দুলাল মিয়া বলেন, আমাদের জেলেরা ভুলে সীমানা অতিক্রম করলে অথবা দুর্যোগের সময় ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশ করলেই জেল হাজতে পাঠানো হয়, অথচ ভারতের জেলেরা আমাদের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করলে জামাই আদরে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।