পাথরঘাটায় মসজিদের ইমামের দাড়ি কেটে দিলেন মেম্বারের ছেলে
বরগুনার পাথরঘাটায় মসজিদের এক ইমামকে বাড়িতে ডেকে নিযে দাড়ি কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. শহিদ এর ছেলে সোহেলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ওই ইউপি সদস্যের কাছে বিচার দিলে তিনি বিচার করবেন বলে কালক্ষেপন করতে থাকেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন ভুক্তোভোগী রফিকুল খন্দকার।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে রফিক খন্দকার সাথে কথার কাজ আঝে বলে সোহেল তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে দাড়ি কেটে দেন।
রফিক খন্দকার পাথরঘাটা নিউজকে জানান, আমি একজন মসজিদের সাবেক ইমাম। গহরপুর শাহ আলম মেম্বার বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে নামাজ পড়িয়েছি। ঘটনার দিন দুপুরের সময় আমাকে সোহেল জানায় আমার সাথে তার কিছু কথা আছে এবং দুপুরে তার বাড়িতে ভাত খেতে হবে, এ কথা বলে বাড়িতে নিয়ে যায়। যাওয়ার সাথে সাথেই কিছু বুজে ওঠার আগেই কাচি দিয়ে কেটে দেয়। এ নিয়ে আমি সোহেলের বাবা শহিদ মেম্বারের কাছে বিচার দিলে সে এখন পর্যন্ত কোন বিচার করে নাই। উল্টো সোহেল আমাকে মারাধর করার জন্য হুমকি দিচ্ছে কেন তান বাবার কাছে বিচার দিলাম।
তিনি আরো জানান, আপনারা আমার এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখে, দাড়ি কাটার পরে এখন আমি রাস্তায় বের হতে পারিনা। এলাকার লোকজন আমাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করে।
রফিক খন্দকার এর বাবা নেছার জানান, সোহেল আমার ছেলে দাড়ি কাটতে কে? কেন আমার ছেলের দাড়ি কেটেছে তার বিচার চাইলেওতো পাবো না। এর আগেও একজন ছেলেকে সোহেল মারধর করেছে তারও বিচার পায়নি। আমরাও বিচারের জন্য মেম্বারের কাছে গিয়ে পাইনি, আমরা গরীব মানুষ বিচার চাইলে কে করবে?
অভিযুক্ত সোহেল দাড়ি কাটা কথা স্বীকার করে জানান, সে আগেই দাড়ি কেটেছে, আমি শুধু বাড়িতে ডেকে আগোছালো দাড়ি গুলো ঠিক করে দিয়েছি।
অভিযুক্ত সোহেলের বাবা স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদ মিয়া জানান, দাড়ি সে নিজেই কেটেছে, আমার ছেলে শুধু সেই দারি সাইজ করে দিয়েছে এতে দোষের কি আছে। আজই তাদের নিয়ে বসে মিমাংসা করে দিবো।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সঞ্জয় কুমাড় পাথরঘাটা নিউজকে জানান, এরকম কোন অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।