সামন্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় পাথরঘাটার পৌর এলাকা
সামন্য বর্ষণে বরগুনার পাথরঘাটা পৌর শহর তলিয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পৌর এলাকার বাসিন্দাদের। পানি নিষ্কাশনের কোন ধরনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই এমন অবস্থা হয় বলে অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঘুর্নিঝড় অসনির প্রভাবে সোমবার সকাল সাড়ে সাতটার থেকে ঘন্টা খানেকের হালকা মাঝারি বৃষ্টিতেই তলিয়ে গেছে পাথরঘাটা শহরের শেখ রাসেল স্কয়ার সহ পাথরঘাটা মুল বাজার, বিভিন্ন সড়ক, অলি-গলি। এছাড়াও পৌর শহরের নিচু এলাকার ঘর-বাড়িতে পানি জমেছে। রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে সে রকম যানবাহনও দেখা যায়নি। সোমবার সকালে পাথরঘাটা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
পাথরঘাটা পৌর শহরের বাসিন্দা জাহিদুল হাসান জানান, ঘন্টা খানেকের বৃষ্টিতে শহরে হাঁটু জল হয়েছে। শুনেছি ঘুর্নিঝড়ের প্রভাবে আরো তিন চার দিন বৃষ্টি হতে পারে। তাহলে তো আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। আরেক বাসিন্দা শাকিল জানান, পাথরঘাটা শহরের কাঁচাবাজার পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল কিনতে আসা লোকজনের ভোগান্তি চরমে।
ব্যাবসায়ী সগির হোসেন জানান বাজার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সবার বেচা বিক্রি বন্ধ হয় গেছে। নিয়মিত পৌরকর, খাজনা পরিশোধ করেও আমরা তাদের থেকে কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছিনা। শুধু বলে দেখমু আনে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় পাথরঘাটা পৌর শহরে পানি নিস্কাশনের জন্য কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুজল হয় এই শহরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে ভোটে বিজয়ী হয়েও এ সমস্যা সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না জনপ্রতিনিধিরা। এতে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পাথরঘাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আকনের বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ীদের দাবি তারা কয়েক লাখ টাকা খাজনা দিয়েও পৌরসভা থেকে কোনো সুব্যবস্থা পাচ্ছিনা।
পাথরঘাটা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আহসান হাবীব জানান, সুপরিকল্পিত ও মাস্টর প্লান না থাকায় অস্বস্তিতে পাথরঘাটা পৌরবাসী। তিনি জানান, বর্তমান পৌর মেয়র চার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর মধ্যে পরপর দুবার নির্বাচিত হলেও দৃশ্যমান কোনো কাজ দেখাতে পারেননি তিনি।
এবিষয়ে পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন জানান, পৌর শহরে ড্রেনেজ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা রয়েছে। যে গুলো রয়েছে তাও দখলদাররা দখল করে রেখেছে। পাশাপাশি শহরের ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র ফেলায় আটকে যাচ্ছে ড্রেনের মুখগুলো। এ কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। জলাবদ্ধতা দূরীকরণের কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।