পাথরঘাটায় সম্পত্তির লোভে সৎ মায়ের বিরুদ্ধে হয়রানীর অভিযোগ
বরগুনার পাথরঘাটায় রুহুর আমিন নামের এক ব্যাক্তিকে সৎ মা রাহিমা বেগম ও ভাই শাহ আলম, নুরুল আলম, বোন মুনিরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলে নিতে মাকে মারধরের কথা বলে মিথ্যা হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনা রোববার দুপুর ১ টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবে লিখিত আভিযোগ করেছেন ওই ভুক্তভোগী।
রুহুল আমিন পাথরঘাটা পৌরশহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে।
লিখিত অভিযোগে রুহুল আমিন জানান, আমি ছোট থাকাকালীন ঢাকায় গিয়ে থেকেছি, দীর্ঘ বছর পরে বাড়ি আসি। তখন আমার সৎ মা তার সম্পত্তি বিক্রি করতে চাইলে আমি তা ক্রয় করে মাকে ঘর তুলে দেই এবং আমার মা না থাকায় তাকেই আমি মা বলে ডাকি ও সকল ভরন-পোষনের দায়িত্ব নেই। কয়েকদিন আগে আমি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসলে আমার সৎ মা ও সৎ ভাইয়েরা মিলে আমার ঘরসহ জমি দখলে নেয়ার জন্য ঘরে তালা বদ্ধ করে রাখে। পরে আমি স্থানীয় কাউন্সিলর ও থানায় অবহিত করি। আমি ঢাকা থেকে এসে পথে পথে গুরছি, সৎ মা ও সৎ ভাইদের মিথ্যা হয়রানী থেকে মুক্তি চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাহিমা বেগম জানান, রুহুল আমিনের মা তিন মাস বয়সী রেখে অন্যত্র চলে যায়। সেই থেকে আমি তাকে বড় করেছি। কিন্তু সে বিভিন্ন কৌশলে আমার কাছ থেকে ব্যাংক লোনের কথা বলে গোপনে নানা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে একটি হেবা বেল এওয়াজ নামা দলিল তৈরি করে। এ নিয়ে আমি আদালতে মামলা করেছি। এর জেরে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে এসে আমাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাকন জানান, রুহুল আমিন নামের একজন আমাকে জানালে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়েছি। এটি একটি গৃনিত বিষয়। প্রশাসনের মাধ্যমে ওই জমি রুহুল আমিন যেন ন্যায় বিচার পায় সেই দাবি জানাচ্ছি। তবে মাকে মারধরের ঘটনাটি মিথ্যা।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে সত্যতা পেলে দোসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।