পাথরঘাটায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ, বাস্তবায়ন না হলে ব্যাবস্থা
বরগুনার পাথরঘাটায় রাতের আঁধারে ময়লার ভাগার বানিয়ে সরকারি পুকুর ভরাট করে দখল করে আছে দখলদাররা। এ সব অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলা প্রসাশন ও পৌর পরিষদ।
সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে পাথরঘাটা পৌর শহরের পাথরঘাটা সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদ্রাসার পূর্ব দিকে ও পুরাতন সোনালী ব্যাংকের পিছনের পুকুরটি পরিদর্শন করে এ সিদ্ধান্ত দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় মাদ্রাসার পাশের সরকারি পুকুরের চতুর্দিকে ময়লার ভাগার বানিয়ে ফেলেছে স্থানীয়রা। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ পাথরঘাটা পৌরসভার কোথায় ময়লা আবর্জনা ফেলার ব্যাবস্থা নেই। তাই আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকেও বাসাবাড়ির উচ্ছিষ্ট ময়লা আবর্জনা এই পুকুরে ফেলা হচ্ছে। এতে যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তেমনি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। এ কারনে পুকুরে পাড় থেকে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে অনেকেই।
পাথরঘাটা পৌরসভার কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাঁকন জানান, পাথরঘাটা ভুমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে যত সরকারি জমি রয়েছে তা ভুমি দস্যুরা বিভিন্ন কৌশলে দখল করে সেখান বড় বড় ইমারত নির্মাণ করছে। কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাঁকন জানান, আমি বাদী হয়ে ২০১৯ সালে ১ নং খাস খতিয়ান এর ৫০৫ ও ৩৩৯৬ দাগে খাল ভড়াটি জমিতে অবৈধভাবে দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য মহামান্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছি। মামলা নং ৭৭৭১/২০১৯। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানোর পরেও প্রতিদিন খাল ও পুকুর ভরাটি জমির দখলের মহোৎসব চলমান আছে পাথরঘাটায়।
পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সরকারি জমি দখল করে যারা ভবন নির্মাণ করেছে তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। কেননা জমিগুলো উদ্ধার করে শহরের দৃষ্টি নন্দন বাড়ানো হবে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ জানান, যারা মাদ্রাসার পাশের সরকারি জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছেন তারা আমাদের সাথে সমন্বয় করে নিজ উদ্যোগেই তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার কথা দিয়েছে। যদি তারা তাদের কথা না রাখে তাহলে তাদের আর কোনো সুযোগ দেয়া হবে না। সবটুকুই বুলডোজার মেশিন দিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হবে।