পাথরঘাটায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু, তবে বাবার অভিযোগ ভিন্ন
পাথরঘাটা বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার পাথরঘাটায় পানিতে ডুবে আরাবি নামে তিন বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বেলা দেড়টার দিকে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পূর্ব হাতেমপুর গ্রামের আরাবির নানা বাড়ির পুকুর থেকে উদ্ধার শিশুটিকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরাবি বরগুনা সদর উপজেলার বালিয়াতলি ইউনিয়নের ছোট বালিয়াতলীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নজরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সুমাইয়া জানান আরাবি ওর বাবা-মায়ের সাথে নানা হারুন ফকির এর বাড়িতে বেড়াতে আসে। বুধবার দুপুরের রান্নার কাজে আরাবির মা শারমিন আক্তার ব্যাস্ত ছিল। এসময় আরাবি সহ অন্যান্য কয়েক জন ঘরের বারান্দায় বসে খেলছিল। হঠাৎ সেখানে আরাবির খোঁজ না পাওয়ায় আসেপাশে খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরে দেড়টার দিকে বাড়ির পিছনের পুকুরে আরাবি’কে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া পায়। সেখান থেকে নানা হারুন তাকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
পাথরঘাটা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় প্রায় চার মাস পূর্বে আরাবীর বড় বোন জান্নাতির (৮) মরদেহ তার নানা বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে ময়নাতদন্তে আত্মহত্যার রেপোর্ট পাওয়া যায়।
তবে আরাবির বাবা নজরুল ইসলাম জানান, গত দু’দিন আগে তার স্ত্রীর মনমালিন্য হয়। এর পর শশুর বাড়ি থেকে আমার বাড়িতে চলে যাই। আরাবির মৃত্যুর বিষয়টি সন্দেহ জনক হওয়ায় আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। তিনি আরো জানান, গত চার মাস পূর্বে আমার বড় মেয়ে ও রহস্য জনক মৃত্যু হয়। তখনও আমি করোনা আক্রান্ত থাকায় বরিশাল চিকিৎসাধীন ছিলাম। আরাবির ফুফু খাদিজা জানান সম্ভবত শারমিন পরোকিয়ার কারনে দুটি সন্তানকে হত্যা করতে পারে।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল বাশার জানান, শিশু ছেলেটির বাবার অভিযোগ থাকায় লাশ হাসপাতাল থেকে থানায় আনা হয়েছে। সুরাতহাল করে ধারনা করা হচ্ছে পানিতে ডুবে মারা মারা গেছে।বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।