পাথরঘাটায় মৎস্য অভিযানে হামলার ঘটনায় ১৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা,

কাজী রাকিব
কাজী রাকিব, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১১ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

পাথরঘাটায় মৎস্য অভিযানে হামলার ঘটনায় ১৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা,বরগুনার পাথরঘাটার বিষখালী ও বলেশ্বর নদীতে অবৈধ জালের বিরুদ্ধে অভিযান চলাকালে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের উপর হামলার ঘটনায় পাথরঘাটা থানায় বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু। এতে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পাথরঘাটা সার্কেল তোফায়েল আহমেদ সরকার।

শনিবার রাত সাড়ে এগারোটায় পাথরঘাটা থানার মামলাটি এজাহার ভুক্ত হয়। এর আগে বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়ন পদ্মা স্লুইস গেট এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনায় ঘোষিত অবৈধ জালের বিরুদ্ধে বিশেষ কম্বিং অপারেশন-২০২২ বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মৎস্য দপ্তর, পাথরঘাটা থানা পুলিশ এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পাথরঘাটা স্টেশন এর যৌথ অভিযানে অপারেশন পরিচালনা করা হয়। চলাকালীন ১৫টি বেহুন্দি ৩৫ টি গোপজাল আটক করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ এলাকার কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে অভিযান কারিদের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সরকারী কাজে বাধাঁ প্রদান করে, নানাভাবে হুমকি প্রদান করে এবং আটক অবৈধ জাল ছিনিয়ে নেয়। এতে অভিযানে অংশগ্রহনকারী প্রায় কর্মকর্তা, পুলিশ, কোস্টগার্ড, আনসার সদস্য সহ ১৫ জন রক্তাক্ত জখম হয়। এদের মধ্যে পাঁচ জনকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে অভিযুক্ত একাধিক জেলেরা জানান, মৎস্য বিভাগের লোকজন অবৈধ ভাবে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরের ভিতর থেকে জাল দড়ি নিয়ে যায়। এসম বাড়িতে থাকা মহিলা হাত-পা ধরে এগুলো না নিতে আকুতি জানালে প্রশাসনের লোকজন তাদের উপর লাঠিচার্জ করে। স্থানীয় মৎস্যজীবী ও বাজার কমিটির সভাপতি আবুল বাশার জানান, আমরা প্রতি মাসে মৎস্য অফিসে মাসোহারা দেই। এর পরেও তারা আমাদের না জানিয়ে আমাদের জাল দড়ি নিয়ে যায়। এতে বাধা দিলে পাঁচ ছয়জন মহিলাকে পিটিয়ে আহত করে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, তারা নিজেরা বাঁচাতে আমাদের উপর মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পাথরঘাটা সার্কেল তোফায়েল আহমেদ সরকার জানান, শনিবার রাতে পাথরঘাটা থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। এ মামলায় দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। সাধারন কাউকে হয়রানি করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)