বরগুনায় ৩ সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবি
বরগুনা জেলার পূর্বের ৩টি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে পাথরঘাটার বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও নাগরিক প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের আয়োজনে সংকল্প ট্রাষ্টের পঞ্চম তলায় নাগরিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সংসদীয় আসনটি পুনর্বহালের দাবিতে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যাক্তি, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, শিক্ষক,জেলেসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।
পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমল তালুকদারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির,পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহাগ, ৩টি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের বরগুনা জেলা আহবায়ক হাসানুর রহমান ঝন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট নূরুল ইসলাম, পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি চৌধুরী মো. ফারুক, পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এএসএম জসিম, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাফিজ, বরগুনা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ, পাথরঘাটা পৌরসভার কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাকন, সাংবাদিক জাকির হোসেন খান, তারিকুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা সমিতির সভাপতি তরিকুল ইসলাম রেজা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০০১ সালে সংসদ নির্বাচনেও পাথরঘাটা-বামনা, বেতাগী-বরগুনা ও আমতলী-তালতলী ৩টি সংসদীয় আসন নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠি হয়। বরগুনা-৩ আসন (আমতলী-তালতলী) আসনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কি কারণে ২০০৮ সালে এসে তা বাতিল করে বরগুনায় ২ টি আসন করা হয়েছে এটি প্রশ্নবিদ্ধ। নির্বাচনী এলাকায় জায়গা কম থাকলে উন্নয়ন ও সেবা করাও সহজ হয়। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, নিজের আসনটির খোজ খবর নিতে। পুর্বের ন্যায় বরগুনায় ৩টি আসনের দাবি জোড়ালো দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত এ দাবি নিয়ে যাবো।
জানা গেছে, ব্রিটিশ শাসনামল থেকে বরগুনা-৩ সংসদীয় আসনটি একটি স্বতন্ত্র আসন ছিল। স্বাধীনতার পর থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বরগুনা জেলায় সংসদীয় আসন ছিল তিনটি। এর মধ্যে আমতলী-তালতলী উপজেলা নিয়ে ১১২ বরগুনা-৩ আসন। ২০০১ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন সংসদ সদস্য মো. মজিবুর রহমান তালুকদারের আকস্মিক মৃত্যুতে এ আসন (আমতলী-তালতলী) থেকে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন করে জয়লাভ করেছিলেন। ২০০৮ সালে তত্তাবধায়ক সরকার সীমানা নির্ধারণ অধ্যাদেশ গঠন ১৯৭৬-এর ৬-এর (২) ধারার প্রশাসনিক কাঠামো, আয়তন, বাস্তবিক অবস্থা ও জনসংখ্যা বিবেচনা না করে শুধু জনসংখ্যার ভিত্তিতে আসনটি (আমতলী-তালতলী) বিলুপ্ত করে। পরে বরগুনা জেলা সদরের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেন। তারা এ আসনটি পুনর্বহালের দাবি জানান।