পাথরঘাটায় হরিণের ফাঁদ দিয়ে গরু শিকার, কসাইয়ের কাছে বিক্রি
হরিণ শিকারের ফাদ দিয়ে একটি গরু ধরে কসাইয়ের কাছে বিক্রিও অভিযোগ উঠেছে বাবা ও দুই ছেলের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিণঘাটা এলাকার চরলাঠিমারা। এরকম হরিণ, শুকর ও গরু ফাঁদ পেতে শিকার করে বলে অভিযোগ করেছন স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি।
শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে গরুর খোঁজ পেয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন গরুর মালিক একই এলাকার আবুল হোসেন ফরাজী।
এর আগে গত রোববার সকাল থেকে গরুটির খোঁজ পান না তারা।
অভিযুক্রা হলো, চরলাঠিমারা এলাকার মৃত আশ্বেদ আলী হাওলাদারের ছেলে পনু হাওলাদার (৫০), তার ছেলে ফোরকান (৩০) ও আজাদ (২৭)।
গরুর মালিক আবুল হোসেন ফরাজী জানান, দীর্ঘ দিন ধরে তার ১৬ টি গরু হরিণঘাটা এলাকার ফারুকের কাছে দেখভালের জন্য দিয়ে আসেন। সে থেকেই গরু গুলো দেখাসোনা করেন তিনি। পরে গত রোববার থেকে তার ছাই কালারের একটি গরুর খোঁজ না পেয়ে মালিক আবুল হোসেন ফরাজীকে জানালে তিনি পাথরঘাটা বিভিন্ন এলাকার খোঁজ নেন। পরে হাসপাতাল সড়কের কসাই হারুন কাজীর বাড়িতে জানতে পেরে সেখানে দেখে নিশ্চিৎ করেন। এসময় সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনকে জানালে তিনি হারুন কাজীল জিম্মায় রেখে দেন বলে জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পনু হাওলাদারের ছেলে আজাদ হরিণ ধরার ফাদে গরু আটকের কথা স্বীকার করে বলেন, কে বা কারা হরিণের ফাদ পেতেছে তা আমরা জানিনা। তবে আমাদের একটি গরু ফাদে আটকা পরেছে তা জানতে পেরে উদ্ধার করে বিক্রি করে দিয়েছি।
পাথরঘাটা সদও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনাটি নিয়ে গরুর মালিক আমার কাছে অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত পনুর ছেলে আযাদ এই কাজগুলে করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে ওই এলাকায় এরকম আরো অভিযোগ রয়েছে। এর দৃস্টান্ত শাস্তি হবে।