বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবি, ১৬ ট্রলারসহ ১৬১ জেলে উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ৫ ট্রলার সহ ১৫ জেলে
বরগুনার পাথরঘাটা থেকে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় দমকা হাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারের মধ্যে একদিন পর ১৬ ট্রলার সহ ১৬১ জন জেলে উদ্ধার হয়েছে।
রোববার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি ও সুন্দরবনের দুবলার চর ফিসারম্যান গ্রুপের সমন্বয় উদ্ধার হয়েছে বলে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ের কবলে পরে প্রায় ২১ টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখনো ১৫ জন জেলে সহ ৫ টি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। নিখোঁজ জেলেরা হল আলঙ্গীর হোসেন, বাচ্চু মিয়া, শাহিন মিয়া, মফিজুল শেখ, মিজান শেখ, রুহুল, বক্কর মোল্লা, ইয়াকুব মোল্লা, মহিত মোল্লা, শহিদুল মল্লিক, বাবুল হাওলাদার। বাকি চার জনের নাম জানা যায়নি। এদের সকলের বাড়ি বাগেরহাটের বগা ও মংলা এলাকায়।
এদিকে ট্রলার ডুবির ঘটনায় শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে দুইজন জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মামুন শেখের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার এবং ইসমাইল শেখের বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া।
জানা যায়, মামুন শেখ এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারে এবং ইসমাইল শেখ এফবি জামিলা নামক ট্রলারে ছিল। হঠাৎ উল্টে যাওয়ায় মামুন ও ইসমাইল ট্রলারের পাটাতনের মধ্যে ঢুকে যায়। শুক্রবার রাতের আকস্মিক ঝড়ে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় ১৮টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেলে ট্রলারে থাকা অধিকাংশ জেলেরাই সাতরিয়ে নিরাপদ স্থানে। তারপরও বেশ কয়েকজন জেলে নিখোঁজ হন। শনিবার সকাল থেকে জেলে, বনবিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। উদ্ধারকৃত নিহত দুই জেলের মরদেহ তাদের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনার পর বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি ও দুবলার চর ফিসারম্যান গূরূপের সমন্বয় প্রায় শতাধিক ট্রলার উদ্ধারের জন্য সাগরে রয়েছে। এখনো অনেক জেলে ও ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে।
এ বিষয় কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট লুত্ফুর রহমান বলেন, আমাদের উদ্ধার অভিযান অব্যহত রয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।