ঘুনিঝড়ে বঙ্গোপসাগরে ১২ ট্রলার ডুবি, ২৫ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৩০
বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ৭০ কিলোমিটার দক্ষিন পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে হঠাৎ ঘুর্নিঝড়ের কবলে পড়ে ১২ টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৫ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী। তবে ট্রলার ডুবি ও নিখোঁজের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার রাত দশটার দিকে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সুন্দরবনরে দুবলা থেকে আলোরকোল পর্যন্ত প্রবাল ঘুর্নিঝড়টি বয়ে যায়। এ সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রলার গুলো।
উদ্ধার হওয়া জেলে অনিমেশ হালাদার মুঠোফোনে জানান, রাত ১০টার দিকে হঠাৎ আকাশ কালো হয়ে গিয়ে প্রবাল বেগে ঘুর্নিঝড় শুরু হয়। তখন বেশীর ভাগ জেলে ঘুমিয়ে ছিল। আমাদের ট্রলারটি উল্টে যায়। আমরা ৫ জন জেলে নয় ঘন্টা ধরে সাগরে ভেসে ছিলাম। আমাদের শরীর শীতে জমে গিয়েছিল প্রায়। পরে আল আমিন মাঝি আমাদের উদ্ধার করে আগুন জ্বালিয়ে এবং ট্রলারে থাকা সকল কাঁথা কম্বল দিয়ে আমাদের ঢেকে দিলে আমরা প্রানে রক্ষা পাই। সাগরে অনেক ট্রালার উল্টে যেতে দেখেছেন তিনি।
এফবি হাওলাদার ট্রলারের মাঝি এমাদুলের বরাত দিয়ে মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, নিখোঁজ জেলের বাড়ি সাতক্ষিরা পিরোজপুর, বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকার। ডুবে যাওয়াা ট্রলারের মধ্যে এফবি মায়ের দোয়া, এফবি আনিছ ও এফবি ইলিয়াস এফবি জামিলার নাম পাওয়া গেছে।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আরো জানান, নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে পাথরঘাটা এলাকার বেশ কয়েকটি ট্রলারে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। আল আমিন মাঝির ট্রলারে অনিমেশ হালদার, পবিত্র, অসিত বিশ্বাস, আবদুল্লাহ গাজী সহ তাদের ডুবে যাওয়া ট্রলারটি বেধে ভাসমান অবস্তায় আছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩০ জেলে উদ্ধার করতে পারলেও ২৫ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। তবে ট্রলার ডুবি ও নিখোঁজের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
এ বিষয় বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জেলে ও ট্রলার উদ্ধারে প্রয়োজনীয় সকল ব্যাবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার লুৎফর রহমানদ জানান, নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের জন্য শনিবার সকাল থেকে দুবলা থেকে ফেয়ারওয়ে বয়া পর্যন্ত কোস্টগার্ডের উদ্ধার টিম কাজ করছে।