সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড পাথরঘাটার নিহত ৫ পরিবারে আর্থিক সহায়তা দিল সাদাকাহ ইউএসএ
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ এ অগ্নিকাণ্ডে নিহতের মধ্যে বরগুনার পাথরঘাটার ৪ পরিবার এবং আগুনে দগ্ধ অপর এক আহত নারীকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সাহায্য সংস্থা সাদাকাহ ইউএসএ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আর্থিক সহায়তায় আজ শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল চারটায় পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় এ অর্থ প্রদান করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ আল- মুজাহিদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন, পাথরঘাটা পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাকন, পাথরঘাটা প্রেসকাবের সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক, সাধারণ সম্পাদক অমল তালুকদার, পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসকাবের অর্থ সম্পাদক ইমরান হোসাইন, আরিফুর রহমান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাদাকাহ ইউএসএ’ র পে প্রতিনিধিত্ব করেন সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন।
অগ্নিকাণ্ডে নিহত পাথরঘাটা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আ.রাজ্জাক, কালমেঘা ইউনিয়নের হাফেজ মো. রাকিব, তাবাসসুম, চরদুযানী ইউনিয়নের সাহিদা আক্তার ও পাথরঘাটা পৌরসভার ৮ নং ওযার্ডের বাসিন্দা রুবি আক্তার। প্রত্যেকের পরিবারের হাতে নগদ ৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
এসময় পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ আল- মুজাহিদ বলেন, ‘ আমিও ওই লঞ্চে ছিলাম, আমি ও আমার স্ত্রী মরন কুপ দেখে এসেছি। আমরাও হয়তো লাশ হয়ে আসতাম। নিজ চোখে দেখেছি মানুষের মৃত্যু আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়ে এনেছেন। আর যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদেরকে আর ফিরে পাবেন না। এর মধ্যে অনেকেই আছেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনম ব্যক্তি। এ আর্থিক সহায়তা কিছুটা হলেও তাদের কাজে আসবে। এজন্য তিনি সাদাকাহ ইউএসএ কর্তৃপকে ধন্যবাদ জানান।
মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সাহায্য সংস্থা সাদাকাহ ইউএসএ এর প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের পরপরই তাদের স্বেচ্ছাসেবিরা কাজ শুরু করেছে। ঢাকায় ও বরিশালের বার্ন ইউনিটে সংস্থাটির উপদেষ্টা আলহাজ্ব মাওলানা শাহ মো. সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী দগ্ধদের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ করেন। এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান সাদাকাহ ইউএসএ এর প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
নিহত আ. রাজ্জাকের মেয়ে রুবি বলেন, আমার বাবা ও আমি ওই লঞ্চে ছিলাম, আগুন লাগার কিছুণ পর আমার বাবাকে খুঁজে পাইনি, পরদিন আমি ও মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবার মৃত্যুর খবর পাই। আজ বাবাকে হারিয়েছি, মা এখনো মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আর আমি এখনো ত বয়ে বেড়াচ্ছি। চিকিৎসা শেষে আজই (শনিবার) বাড়িতে আসছি। আজ যারা আমাদের সহায়তা করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।