অভিযান-১০ এ দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় ঔষধ দিলেন নারী সাংসদ সুলতানা নাদিরা
বরগুনাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ অভিযান-১০ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত রোগীদের চিকিৎসায় ঔষধ প্রদান করেছেন বরগুনা-৩১৫ সংরক্ষিত আসনের সাংসদ সুলতানা নাদিরা।
রবিবার দুপুরে বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) এর পরিচালক ডাক্তার এইচ এম সাইফুল ইসলামের হাতে এ ঔষধ তুলেদেন সুলতানা নাদিরা।
অপসোনিন ফার্মার তৈরি দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ক্রিমসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ তুলেদেন। এ সময় শেবাচিমের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে ঔষধ গ্রহণ করেন।
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত রোগীদের চিকিৎসা চলছে বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল শেবাচিমে। কিন্তু প্রয়োজনীয় ঔষধের সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যহৃত হচ্ছিলো। কারণ দগ্ধ রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ হাসপাতাল কিংবা বাহিরের ফার্মেসীতে সহজলভ্য নয়। এছাড়া অতিরিক্ত মূল্যসহ আহত রোগীদের সেবার ক্ষেত্রে চরম সংকট তৈরি হয়। গতকাল শনিবার আহত রোগীদের দেখতে গিয়ে স্বজনদের কাছ থেকে এমন কথা শোনেন বরগুনা-৩১৫ সাংসদ সুলতানা নাদিরা। তাই তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৪২ কার্টুনে বিভিন্ন প্রকারের ২২০০ পিস ঔষধ প্রদান করেন।
এতো সংখ্যক দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় এমন সহযোগিতার বিষয়ে শেবাচিমের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত। একজন সাংসদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে আহত রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য ঔষধ দিয়েছেন। আমাদের হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৮২ জন রোগী ভর্তি আছেন। আশা করছি এই সকল রোগীদের সেবায় এই ঔষধগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এময় বরগুনার সংসদ সদস্যের প্রতি শেবাচিমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
লঞ্চ দূর্ঘটনায় আহত রোগীদের ঔষধ দিয়ে সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে সাংসদ নাদিরা সুলতানা বলেন, অভিযান-১০ এর বেশিরভাগ যাত্রী ছিলো বরগুনার বিভিন্ন এলাকার। তারা আমার আসনের মানুষ। তাদের বিপদে আমি পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। গতকাল আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সরাসরি গিয়ে দেখা করেছি। আমি তাদের সব ধরনের সহযোগিতার কথা জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমি সবার কাছে গিয়েছি, তাদের কথা শুনেছি, আমার সাধ্যমত তাদের নগদ সহায়তা করেছি।
সংরক্ষিত আসনের এই নারী সাংসদ আরো বলেন, গতকাল আহত রোগীদের স্বজনদের কাছ থেকে ঔষধ সংকটের কথা জেনেছি। তাই আজ দগ্ধ রোগীদের সেবায় ঔষধ প্রদান করলাম। যাতে আমার এলাকার মানুষ সুস্থ হিয়ে ফিরতে পারে।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, লঞ্চ দূর্ঘটনায় আহত রোগীদের সেবায় এপসোনিন ফার্মার তৈরি এনসেট ৮ মিঃগ্রাঃ ইনজেকশন ৫০ পিস, নিউজিন ২৫ গ্রাম ক্রীম ২০০০ পিস, রেনোভা ৫০০ গ্রাম ট্যাবলেট ১০ প্যাকেট, ট্রানাল ১০০ গ্রাম ইনজেকশন ৫০পিস ঔষধ পেয়েছেন। যা আগুনে দগ্ধ রোগীদের সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।